পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

কিবেহ বল

এবার আরব দেশের একটা রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি , আমার আজকের রেসিপি "কিবেহ বল"।  চলুন তৈরি করি...... 

কিবেহ বল

উপকরনঃ

গরুর কিমা - ৩০০ গ্রাম

গমের ছাতু - ২ কাপ ( ৫০০ গ্রাম)

গরম পানি - ১ কাপ (২৫০ গ্রাম)

পিয়াজ - ২ টা কাঁটা

জিরের গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ

মরিচের গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ

লবণ - ১ টেবিল চামচ

মিক্সট মসলা:

কালো গোল মরিচের,-১টেবিল চামচ

 দারচিনি- বড় ২/৩ টা

লবঙ্গ- ৪/৫ টা

জয়ফল- ৪ ভাগের এক ভাগ

 সব এক সাথে গুঁড়া করে তা থেকে ১ টেবিল চামচ

পুর:

খাশির কিমা - ৫০০ গ্রাম

কাজু বাদাম- আধা কাপ ( ৭০ গ্রাম)

দারচিনির গুঁড়া - আধা টেবিল চামচ

মিক্সট মসলা -হাফ টেবিল চামচ

মরিচের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ

লবণ - ১ টেবিল চামচ

পিয়াজ কুচি - ৩ টা

আর ভাজার জন্য লাগবে 

সয়াবিন তেল- প্রয়োজন মতো।

প্রস্তুত প্রণালিঃ

প্রথমেই কিবেহ তৈরি করবো। কিবেহ তৈরি করতে একটা ডিশে ২ কাপ গমের ছাতু নিবো আর তাতে ১ কাপ গরম পানি মিশিয়ে নেড়ে ঢেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিবো । এবার ব্লেন্ডারে গরুর কিমা আর পিয়াজ কাঁটা দিয়ে মিহি করে নিবো। পাঁটায় বেঁটে নিতে পারেন।

১০ মিনিট পর গমের ছাতু ঝরঝরা করে নিবো আর তাতে মিক্সড মসলা, জিরের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ মিশিয়ে নিবো তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করা কিমা ছাতুর সাথে ভাল করে মথে নিবো আর এক কাপ পানি দিয়ে ডু তৈরি করে ঢেকে রাখবো আরও ১০ মিনিট। 

এবার খাশির কিমার পুর তৈরি করবো। চুলায় কড়াই বসিয়ে একটু গরম হবার পর ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ,খাশির কিমা কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিবো। এবার পিঁয়াজ কুচি দিয়ে আবারও ভালো করে নাড়তে হবে। এখন সব মসলা, কাজুবাদাম আর লবণ দিয়ে ভাল করে নাড়বো।

১০ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিবো।

 কিমার পুর নরমাল হলে এবার ছাতু দিয়ে পটল বা বলের মতো করে নিবো। এবার আঙ্গুল দিয়ে ভিতর ফাঁকা করে কিমার পুর ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দিবো ঠাণ্ডা পানি হাতে লাগিয়ে। এই ভাবে কিবেহ তৈরি করে নিবো। 

সব তৈরি হবার পর ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিবো। 

এবার সারভিং প্লেটে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

এঁচোড় চিংড়ি

কাঁঠালের সময় তাই দেরি না করে,  না না ভাবে এঁচোড় রান্না করে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটায় ঘরের গৃহিণীরা। রান্না একটা শিল্প ,তাই মনের মাধুরি মিশিয়ে যখন রান্না করবেন ,দেখবেন আপনার রান্নাটাও অন্য সব রাধুনিদের মত সুস্বাদু হয়ে উঠবে। চলুন এঁচোড় চিংড়ি রান্না করি...

এঁচোড় চিংড়ি

উপকরণঃ

এঁচোড় (কাঁঠাল)- ছোট ১ টা,

চিংড়ি মাছ -৫০০ গ্রাম

পেঁয়াজ বাটা- ৩ টেবিল চামচ

আদা বাটা-১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা- ২ টেবিল চামচ

 টমেটো বাটা-৩ টেবিল চামচ

লবণ- স্বাদমতো

চিনি- স্বাদমতো

হলুদ গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

মরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ

মরিচ বাটা- আধা চা চামচ

তেজপাতা- ১ টা

এলাচ-২ টা

দারচিনি- ১ টা 

লবঙ্গ -৩-৪ টা

শুকনা মরিচ- ২ টা 

সরিষার তেল- ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালিঃ

এঁচোড় কেটে ধুয়ে সামান্য লবণ ,হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝড়িয়ে সরিষা তেলে হালকা ভেজে বাটিতে তুলে রাখবো। অই কড়াইতে আরও একটু সরিষার তেল দিয়ে, পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছ হালকা ভেজে তুলে রাখবো। এবার কড়াইয়ের তেলে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি ,শুকনো মরিচ দিয়ে একটু ভেজে বাটা মসলা সহ সব উপকরণ দিয়ে কষিয়ে নিবো। মসলা কষানো হলে ভেজে রাখা এঁচোড় আর ভেজে রাখা চিংড়ি দিয়ে ভাল করে নেড়ে ১ কাপ  গরম পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো মিডিয়াম আঁচে রান্না করবো।

ঝোল যখন মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন চিনি দিয়ে নেড়ে , কাঁচামরিচ দিয়ে আরও ৫ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করে নামিয়ে ডিশে তুলে নিবো ,ভাতের সাথে পরিবেশন করবো... 

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

এঁচোড় কোর্মা

আস সালামু আলাইকুম। আজ এঁচোড় রেসিপি নিয়ে আসাতে এক্তু অবাক হচ্ছেন, আসলে আমার কাছে রিকুয়েস্ট এসেছে এঁচোড় নিয়ে কয়টা রেসিপি জেনো দেই ,তাই আজ আমি এঁচোড় কোর্মা করবো। এঁচোড় দিয়ে কোর্মা কয়জন খেয়েছেন জানি না, তবে এই রেসিপি ফলো করে রেঁধে দেখুন কত সুস্বাদু। তাহলে চলুন শুরু করি...

এঁচোড় কোর্মা

উপকরণঃ

এঁচোড় (কাঁঠাল কাঁটা)- ছোট (১ কেজি), 

আলু -বড় ২ টা কাঁটা, 

পেঁয়াজ -৫-৬ টা,

আদা বাঁটা- ১ টেবিল চামচ,

রসুন বাঁটা- ১ টেবিল চামচ, 

এলাচ-৩-৪ টা,

তেজপাতা- ১ টা, 

লবঙ্গ ২-৩টা, 

দারুচিনি -২ ইঞ্চি ১টা,

 মরিচের গুঁড়ো - ১ চা চামচ,

ধনিয়ার গুঁড়া-১ চা চামচ, 

কাঁচা মরিচ- ৩-৪ টা, 

গুঁড়া দুধ- আধা কাপ,

পোস্তবাঁটা- ২ টেবিল চামচ,

কাজু বাদাম বাঁটা- ১ টেবিল চামচ,

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী,

চিনি- ১ চা চামচ

 তেল- পরিমাণমতো,

ঘি- ১ টেবিল চামচ, 


প্রস্তুত প্রণালিঃ

প্রথমেই এঁচোড় কেটে টুকরো করে , ধুয়ে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা হতে দিবো। আলু টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিবো। পিয়াজ কুচি করে কেটে ,বেরেস্তা করে নিবো আর কিছু বেরেস্তা বেঁটে নিবো।

চুলায় প্যান বসিয়ে তেল গরম করে তাতে এঁচোড় ভেঁজে তুলে প্লেটে রাখবো আর অই তেলে কেটে রাখা আলু ভেজে তুলে রাখবো। এবার এই প্যানে আরও একটু তেল দিবো ।তেল গরম হলে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি,লবঙ্গ দিয়ে হালকা ভেজে তাতে বাঁটা মসলা  আদা, রসুন বাঁটা দিয়ে কিছুক্ষন ভুনবো তারপর মরিচের গুঁড়া ,ধনিয়ার গুঁড়া লবণ ও সামান্য একটু পানি দিয়ে কষাবো , কিছুক্ষন কষানোর পর বেরেস্তা বাঁটা ,পোস্ত বাঁটা ,বাদাম বাঁটা দিয়ে আরও ৫ মিনিট মসলা কষাবো। ৫ মিনিট পর মসলাতে এঁচোড় ভাজা আর আলু ভাজা দিয়ে ভাল করে নেড়ে  মিশিয়ে কষাবো ৫-১০ মিনিট।  ১০ মিনিট পর কষানো এঁচোড়ে ১ গ্লাস গরম পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না হতে দিবো, পানি টানা পর্যন্ত। এঁচোড়ের ঝোল কিছুটা থাকা অবস্থায় গুড়ো দুধ পানি দিয়ে গুলিয়ে এঁচোড়ে দিয়ে নেড়ে কাঁচামরিচ আস্ত দিয়ে ঢেকে রাখবো আরও ৫ মিনিট। এবার ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে এতে চিনি ও বাকি বেরেস্তা দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ডিশে সাজিয়ে ভাত, পোলাও, রুটি ,পরটার সাথে পরিবেষণ করবো। খেতে অসাধারণ... 


[বিশেষ টিপসঃ এঁচোড় কাটার সময় বটিতে ও হাতে তেল লাগিয়ে কেটে নিতে হয়। কাঁঠালকে কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাবারের সময় এঁচোড় বলে। মাঝের অংশ ফেলে ছিলে টুকরো করে কেটে নিয়ে রান্না করতে হয়।]

.

.



 




শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

চাইনিজ ভেজিটেবল

আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি চাইনিজ ভেজিটেবল। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে চাইনিজ খেতে। 
রেস্টুরেন্টে না যেয়ে পরিবারের সবার মন জয় করে নিতে নিজের হাতের তৈরি চাইনিজ রান্না করলে দারুন হয়। আমি আগেও চাইনিজ রেসিপি দিয়েচি, 
আজ আরও একটা চাইনিজ রেসিপি নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে শুরুকরি...
চাইনিজ ভেজিটেবল 


উপকরণ :

মুরগির বুকের মাংস- ১ কাপ (হাড়ছাড়া)
গোলমরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ,
আদা ও রসুন বাটা- ১ চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
কর্ণফ্লাওয়ার- ৩ চা চামচ
গাজর পাতলা করে কাটা- ২ কাপ
ক্যাপসিকাম কাটা- হাফ কাপ
কাঁচা পেঁপে পাতলা করে কাটা- ২ কাপ
বরবটি কাটা-২ টেবিল চামচ 
তেল- প্রয়োজন মতো
পেঁয়াজ -বড় ২ টা 
( কিউব করে কাটা পাপড়ি ছাড়িয়ে নিতে হবে)
রসুন কুচি- ২ চা চামচ
কাঁচামরিচ- ৪/৫ টা (ফালি করে বিচি ফেলে) 
সয়া সস- ১ টেবিল চামচ
টেস্টিং সল্ট- ১ চা চামচ 

প্রস্তুত প্রণালি:

মুরগির মাংস ছোট ও পাতলা করে কেটে নিবো। আধা চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ  দিয়ে মুরগির মাংস মেখে রেখে দিবো।হাড়িতে পানি ও সামান্য লবণ দিয়ে চুলায় দিবো। গাজর, বরবটি  ও পেঁপে আলাদা আলাদা ৬০% সিদ্ধ করে নিবো। আর সিদ্ধ পানি টা রেখে দিবো , রান্নায় লাগবে। 
এবার প্যানে তেল গরম করে রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে থাকবো। হালকা ভেজে  আগে থেকে মেখে রাখা মুরগির মাংস দিবো ৫ মিনিট নেড়ে এবার  সিদ্ধ করা গাজর ,বরবটি  ও পেঁপে দিবো, তারপর ক্যাপসিকাম কাটা, পিঁয়াজ ,কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নাড়বো কিছুক্ষণ। তারপর সবজি সিদ্ধ করে রাখাপানি হাফ কাপ দিবো। গোলমরিচের গুঁড়ো, সয়া সস ও টেস্টিং সল্ট আর প্রয়োজন মতো লবণ  দিয়ে নেড়ে ৭ থেকে ৮ মিনিট জ্বাল করার পর ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার সামান্য পানিতে গুলে দিবো, নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিবো।
ঝোল ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে পরিবেশন করবো গরম গরম ফ্রাইড রাইসের সাথে... 

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

কলার মোচার বড়া

 আসসালামু আলাইকুম।  আজ রিকুয়েষ্ট নিয়ে এসেছি কলার মোচার বড়া। কলার মোচা হলো কলার ফুলকে বোঝায়। কলার মোচাতে আঠা থাকায় হাতে কালো দাগ লাগার ভয়ে অনেকে খেতে চায় না।এছাড়া এটা কাটতেও একটু কঠিন। তবুও আমরা বাঙালিরা সবাই প্রায় কলার মোচা খেয়ে থাকি কারণ প্রাচীন কাল থেকেই বাঙালিদের ঘরে এর কদর রয়েছে। চলুন তৈরি করি, কলার মোচার বড়া...

কলার মোচার বড়া

উপকরণ :

কলার মোচা - ১ টি

 কাঁচা মরিচ কুচি- ৪-৫ টি

চিনাবাদাম কুচি - ১৫০ গ্রাম

পেঁয়াজ কুচি - ৪ টি

বেসন - ১৫০ গ্রাম,

রসুন কুচি - ১ টি

লবণ -স্বাদমতো 

জিরা গুঁড়ো - ১ চা চামচ,

হলুদের গুঁড়ো- দেড় চা চামচ

ধনিয়া গুঁড়ো- দেড় চা চামচ,

শুকনো মরিচের গুঁড়ো- দেড় চা চামচ

চিনি - আধা চা চামচ,

বেকিং সোডা- ১ চিমটি,

গোল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ

সয়াবিন তেল - পরিমাণ মত

প্রস্তুত প্রনালী:

প্রথমে একটি কলার মোচা নিয়ে নিলাম।তারপর মোচার ফুলগুলি ছাড়িয়ে নিবো। মোচার প্রত্যেকটা ফুলের মধ্যে একটি শক্ত ডাটি থাকে । সেটি ফুল থেকে বের করে ফেলে দিবো। এবার, হাতে সরিষার  তেল মেখে নিতে হবে। তেলহাতে মেখে একটু আঠা কম লাগবে এবং পানিতে মোচার কস আঠা বেরিয়ে যাবে। এরপর একটি পাতিলে পানি নিয়ে তার মধ্যে মোচার ফুলটি বটি দিয়ে কুচি করে কেটে নিলাম। এবার কুচানো মোচা ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে  ডুবো পানি সামান্য লবণ ও হলুদ মিশিয়ে তার মধ্যে মোচার ফুলটি ২০ মিনিট সময় মতো সিদ্ধ করে নিবো। তারপর সিদ্ধ হলে একটি ঝাকায় পানি ঝরিয়ে নিবো। এবার একটা বাটিতে সব মসলা আর বেসন সহ সিদ্ধ মোচা মাখিয়ে নিবো।চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে নিবো। গরম তেলে মিডিয়াম আঁচে বড়া বাদামি করে ভেজে নিবো।এবার গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবো। 

শামী কাবাব

আস সালামু আলাইকুম। আজ কাবাবের রেসিপি শেয়ার করবো। চলুন শুরু করি... 

শামী কাবাব

উপকরণঃ

গরুর মাংস (হাড় চর্বি ছাড়া ছোট ছোট করে কেটে নেওয়া)-৫০০ গ্রাম

ছোলার ডাল- ১ কাপ

পিয়াজ কুচি- ১ কাপ

পিয়াজ ব্যারেস্তা- আধা কাপ

আদা বাটা কাটা- ২ টে.চামচ

রসুন (বড়)- ২ টার কোয়া

তেজপাতা-১ টা

এলাচ (সবুজ)-৪/৫ টা

এলাচ(বড় কালো)- ১ টা

শাহি জিরা- ১ চা চামচ

দারচিনি- ২ টুকরো 

ধনিয়া পাতা কুচি- ২ টে.চামচ

পুদিনা পাতা কুচি- ১ টে.চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টে.চামচ

কাবাব মসলা- ১ টেবিল চামচ 

ডিম- ১ টা

 ঘি- ২ টে.চামচ

সয়াবিন তেল- প্রয়োজনমতো

লবণ- স্বাদমতো 


প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে মাংস ছোট ও পাতলা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো। তারপর মাংসে আস্ত গরম মসলা, তেজপাতা আর আদা কাটা, রসুন কোয়া লবণ হলুদ আস্ত জিরা সহ ১ লিটার পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে সিদ্ধ করে নিবো 

প্রায় ১ ঘন্টা পর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিবো বা শিল পাটায় বেটে নিবো (পানি দিয়ে বাটা বা ব্লেন্ড করা যাবে না)। 

এবার বাটা মাংস গুলো বাটিতে নিয়ে কাবাব মসলা  পিয়াজ কুঁচি, বেরেস্তা ধনিয়া পাতা কুঁচি  পুদিনা পাতা কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, ডিম দিয়ে ভালো করে মেখে নিবো,

এবার কাবাব বানাবো, হাতে সামান্য ঘি লাগিয়ে অল্প নিয়ে ছোট ছোট চ্যাপটা গোল গোল শেপ দিয়ে সব গুলো বানিয়ে নিবো,

চুলায় ফ্রাই প্যান বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করে অল্প আচে কাবাব লালচে করে ভেজে নিবো। তেল ঝরিয়ে পোলাও/বিরিয়ানি/ পরোটা সাথে গরম গরম পরিবেশন করবো। 


মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

চিংড়ি মালাইকারি

আস সালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় একটা রেসিপি আজ সবাইকে শেয়ার করবো। আমি জানি এই রেসিপি আপনাদেরও খুব পছন্দের। তাহলে শুরু করি... 


চিংড়ি মালাইকারি

উপকরণঃ

চিংড়ি মাছ বড় বড়- ৮ টি 

পেঁয়াজ বাটা- ১ হাফ কাপ 

হলুদগুঁড়ো- ১ চা চামচ,

শুকনো মরিচগুঁড়ো- ২ চা চামচ,

ঘি -৪ টেবিল চামচ 

তেজপাতা- ১ টা 

এলাচ- ২/৩ টা 

দারচিনি- ২ টা 

সয়াবিন তেল- ১ কাপ 

নারকেলের দুধ -১ কাপ

আদা-১ চা চামচ

রসুন -বাটা ১ চা চামচ,

কাজুবাদাম বাটা- ১ টে. চামচ 

পোস্তদানা বাটা- ১ টে. চামচ

চার মগজ বাটা - ১ টে. চামচ

ঘনদুধ -২ কাপ

চিনি- ২ চা চামচ

কাঁচামরিচ- ৫/৬টি

লবণ- পরিমাণমতো

গরম মসলা গুড়ো- হাফ চা চামচ


প্রণালিঃ

চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে তার মধ্যে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে রাখবো।

 তারপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে তুলে নিবো। ভাজা তেলেই তেজপাতা,এলাচ,দারচিনি হালকা ভেজে তাতে পিঁয়াজ বাটা দিয়ে ভুনবো।

এবার আদা বাটা,রসুন বাটা, হলুদ ও শুকনা মরিচগুঁড়ো, বাদাম বাটা, পোস্ত বাটা, চার মগজ বাটা সব মসলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিবো। মসলা কষানোর জন্য নারিকেলের দুধ থেকে অল্প দিয়ে কষিয়ে নিবো।  এবার ঘন দুধ দিবো পানির বদলে। 

মসলা কষানো হলে লবণ দিবো ঝোল ঘন হলে নারিকেলের বাকি দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো। 

এবার ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিবো। তারপর কাঁচামরিচ,গরম মসলা গুড়ো আর ঘি দিয়ে , ১০ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করবো।   

এবার ১০ মিনিট পর চুলো বন্ধ করে, গরম চুলায় দমে আরও ৫ মিনিট রাখবো। 

ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো বড় চিংড়ির মালাইকারি। এবার গরম গরম পরিবেশন করবো ভাত বা পোলাওয়ের সাথে। 

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

চিকেন রোস্ট

আস সালামু আলাইকুম।  আজ জনপ্রিয় রেসিপি চিকেন রোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। চলুন রোস্ট তৈরি করতে কিকি লাগে, তা দেখে তৈরি করি....

চিকেন রোস্ট 

উপকরণঃ 

মুরগি - ৩ টা ( ১২ পিস) 

আদা বাটা – ৩ চা চামচ

রসুন বাটা – ৩ চা চামচ

পেয়াজ বাটা – ৩ টেবিল চামচ

জিরা গুঁড়া– দেড় চা চামচ

ধনিয়া গুঁড়া – ১চা চামচ

লবন –স্বাদ অনুযায়ী

চিনি – ১ চা চামচ    

ঘি – ৪ টেবিল চামচ

তেল – পরিমান মতো

পেয়াজ কুচি–১কাপ

জয়ফল, জয়েত্রি বাটা –১ চা চামচ  

এলাচ- ৩ টি

তেজপাতা- ২ টি

দারুচিনি-৩ টি 

কাঁচা মরিচ – ৫/৬ টি

ঘন দুধ – ২ কাপ 

বেরেস্তা- আধা কাপ

টকদই-আধা কাপ (ফেটানো) 

মিষ্টি দই- ২ টেবিল চামচ 

চিনা, কাজু বাদাম বাটা – ২ টেবিল চামচ 

টমেটো সস –২ টেবিল চামচ

লেবুর রস –২ চা চামচ

কেওড়ার জল – ১/২ চা চামচ

জাফরান –হাফ চা চামচ 

বেরেস্তা বাটা- ২ টেবিল চামচ 

কিসমিস বাটা -২ টেবিল চামচ 


প্রস্তুত প্রণালীঃ 

মুরগির রোস্ট রান্নার জন্য প্রথমে মাংস ভাল করে ধুয়ে নিবো। দুধে জাফরান ভিজিয়ে রাখবো। 

আদাবাটা, রসুনবাটা,পিঁয়াজ বাটা, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, লবন ও লেবুর রস অল্প অল্প করে দিয়ে চিকেন মেরিনেট করে রাখবো ৩০- ৪০ মিনিটের জন্য। 

 চুলাতে কড়াই বসিয়ে ডুবো তেলে পিঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে নিবো।

এবার ডুবো তেলে, মেরিনেট করা মুরগির  মাংসের পিস গুলো হালকা বাদামি করে ভেজে রাখবো।  

তারপর কড়াইতে ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে গরম করে  তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিবো। এবার আদা বাটা, রসুন বাটা , পিঁয়াজ বাটা, গুঁড়া মসলা সব দিয়ে  কষিয়ে নিবো। তারপর বেরেস্তা বাটা ,টক দই, মিষ্টি দই,  বাদাম বাটা, টমেটো সস ,লেবুর রস , কিসমিস বাটা, পোস্ত বাটা দিয়ে আবার ভাল করে কষিয়ে নিবো। এবার ভাজা চিকেনের পিসগুলো দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিবো। হালকা কষিয়ে নেওয়া হলে পরিমানমতো পানি দিবো। ফুটে উঠলে ঢেকে দিবো।

চিকেন সিদ্ধ হয়ে আসলে ,জাফরান ভিজানো দুধ, কেওড়ার জল দিয়ে নেড়ে অপেক্ষা করবো ৫ মিনিট। ঝোল  শুকিয়ে আসলে কাঁচা মরিচ, চিনি, সামান্য ঘি  দিয়ে নেড়েচেড়ে  আরও একটু দমে রাখবো। ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে তুলে বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পোলাও -এর সাথে পরিবেশন করবো। 

রুই মাছের কোপ্তাকারি

আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি,সহজ ও মজাদার রেসিপি।  পোলাও বা ভাতের সাথে খেতে খুব মজাদার। তাহলে চলুন রান্না শুরু করি...

রুই মাছের কোপ্তাকারি

উপকরণ :

রুই মাছ- ১ টা (মাথা বাদে সম্পূর্ণ মাছ)

মরিচের গুঁড়ো- ২ চা. চামচ,

হলুদ গুঁড়ো- ২ চা চামচ,

পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ

রসুন বাটা- দেড় চা চামচ, 

আদা বাটা- ২ চা চামচ,

কাঁচামরিচ কুচি-৪/৫ টি

গরম মশলা গুঁড়ো- ২ চা চামচ,

বেসন- ২ কাপ,

লবণ- স্বাদমত,

লেবু- আধা 

সয়াবিন তেল - প্রয়োজন মত,

রুই মাছের কোপ্তার গ্রেভির জন্য:

গুড়ো দুধ- ২ টে. চামচ

টক দই- ২ টেবিল চামচ

পিঁয়াজ কুঁচি - ১ কাপ 

২ টি তেজপাতা

এলাচ-২ টা

দারচিনি - ১ টা

কাঁচা মরিচ- ৪/৫ টি

টমেটো কুচি- ২টি

পেঁয়াজ বাটা- ২ টে. চামচ,

রসুন বাটা- ১ চা চামচ

আদা বাটা- ১ চা চামচ

পোস্তবাটা-১ টেবিল চামচ

জিরাগুঁড়ো- আধা চা চামচ,

মরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ,

হলুদ গুঁড়ো- আধা চা চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো- আধা  চা চামচ,

চিনি- ১ চা চামচ

লবণ- স্বাদ মত

ঘি- ১ টেবিল চামচ,


প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমেই মাছ কেটে, মাথা রেখে বাকি মাছ ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিবো।

চুলায় পাতিলে পানি দিয়ে, মাছ গুলো সামান্য লবণ আর হলুদ আর গোল পাতলা করে লেবু কেটে দিয়ে, সিদ্ধ করে নিবো।

মাছ ঠান্ডা করে কাটা বেছে রাখবো।

এবার,

একটা কড়াইতে বেসন গুলো হালকা টেলে নিবো। এতে বেসন থেকে সুন্দর গন্ধ বেরুবে।

একটি বাটিতে বেসন,কাঁটা ছাড়ানো মাছ, রসুনবাটা,আদাবাটা,পেঁয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচ কুচি,মরিচ গুঁড়ো পরিমাণমতো লবণ আর গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে রাখবো।

এরপরের ছোট ছোট বল তৈরি করে নিবো।

 কড়াইতে তেল গরম করতে হবে। 

তেল গরম হলে বল গুলো ভেজে নিবো।

রুই মাছের কোপ্তা গুলো ভাজার পর অই তেলেই তেজপাতা,আস্ত গরম মসলা দিয়ে হালকা ভেজে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বেরেস্তার মতো ভেজে কিছু তুলে রাখবো (ডেকোরেশনের জন্য)।  এবার ভাজা পিঁয়াজে আদাবাটা,  রসুনবাটা,পিঁয়াজবাটা দিয়ে ভুনবো, এবার টমেটো দিয়ে ভাল করে কষাবো। টমেটো নরম হয়ে আসলে, পোস্তবাটা,টকদই দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে নেড়ে - হলুদ,মরিচ, ধনিয়া, জিরার গুঁড়া দিয়ে ভাল করে কষাবো।

যতক্ষণ পর্যন্ত মসলা থেকে তেল ছেড়ে না আসে।

তেল ছেড়ে আসার পর পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে বলগ তুলে নিতে হবে।

গুঁড়া দুধ অল্প পানিতে গুলে মিশিয়ে নিবো।

লবণ, চিনি দিয়ে নেড়ে অপেক্ষা করবো।

এবার ভাজা মাছের কোপ্তা ও গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রান্না করবো।

১০ মিনিট পর নামানোর আগে ঘি দিয়ে নেড়ে ,মাছের কোপ্তা গুলো সার্ভিং ডিশে তুলে বেরেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করবো পোলাও বা গরম ভাতের সাথে। 

কাতলা মাছের কালিয়া

আস সালামু আলাইকুম।  আজ মাছের রেসিপি নিয়ে এসেছি। এই রেসিপি তৈরি করতে হলে বড় রুই বা কাতল মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। চলুন রান্না শুরু করি...

কাতলা মাছের কালিয়া 


উপকরণঃ

কাতলা মাছ- ৪ পিস

পেঁয়াজ, আদা, রসুন,কাঁচামরিচ বাটা- ২ টেবিল চামচ

কিসমিস বাটা-১ টেবিল চামচ 

বেরেস্তা বাটা- ১ টেবিল চামচ 

জিরা বাটা-১ চা চামচ

বাদাম বাটা- ১ টেবিল চামচ

পোস্তবাটা-১ টেবিল চামচ 

টকদই- হাফ কাপ (ফেটানো)

ধনে গুঁড়া- ১ চা চামচ 

হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ

মরিচের গুঁড়া- ১.৫ চা চামচ

গরম মশলার গুঁড়া- হাফ চা চামচ

জয়ত্রী - ১ টা

তেজপাতা-১ টা

এলাচ-২টা

দারচিনি - ১ টা

লবঙ্গ- ২ টা

কাঁচামরিচ আস্ত-৫/৬ টা

ঘি- ৪ টেবিল চামচ 

সরিষার তেল-১ কাপ

বেরেস্তা-হাফ কাপ

লবণ- স্বাদমতো 

চিনি- ১ চা চামচ


প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে মাছগুলো ধুয়ে লবণ, হলুদ বাটা আদা রসুন,পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ বাটা হাফ চা চামচ আর সাথে সামান্য সরিষা তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখবো ১৫ মিনিটের জন্য। 

১৫ মিনিটপর,

কড়াইতে  সরিষার তেল গরম করে মাছগুলো  ভেজে তুলে নিবো। (বেশি ভাজা যাবে না)

ঐ তেলে  ১ টেবিল চামচ ঘি দিবো তারপর তেজপাতা, দারচিনি,লবঙ্গ দিয়ে,সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত ভাজবো। এবার, পেঁয়াজ,আদা,রসুন, কাঁচামরিচ  বাটা জয়ত্রী  দিয়ে ভুনবো। তেল বের হওয়া পর্যন্ত ভুনবো।

 এরপর জিরা গুঁড়া  দিয়ে ভুনবো। অল্প পানি দিয়ে  কিছুক্ষণ কষিয়ে নিবো।

 এরপর এক এক করে বাদাম বাটা, পোস্তবাটা, কিসমিস বাটা বেরেস্তা বাটা, টকদই দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিবো। না হলে দই ফেটে যাবে। এবার  হলুদ, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিবো।

মসলা থেকে তেল ছেড়ে আসলে পরিমাণ মতো গরম পানি দিবো এবং ঝোলে বলগ আসলে মাছগুলো দিবো।

ঝোল ঘন হয়ে আসলে ঘি, গরম মশলার গুঁড়ো এবং চিনি দিয়ে নেড়ে,কিছুক্ষণ দমে রাখবো। এবার আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ দমে রেখে সার্ভিং ডিশে তুলে বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পোলাও বা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবো।

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

কাচ্চি বিরিয়ানি

আমার আজকের দারুণ মজার রেসিপি, কাচ্চি বিরিয়ানি। 

ছুটির দিন, তাই পরিবারের সবার জন্য আমার আয়োজন। 

চলুন দেখা যাক কাচ্চি বিরিয়ানির রেসিপি.....

কাচ্চি বিরিয়ানি

উপকরণ:

খাসির মাংস- ১ কেজি

চাল- আধা কেজি( পোলাও বা বাসমতি)

আলু - আধা কেজি ( ৪ পিস করে কাটা)

তেল- ২৫০ গ্রাম

ঘি- ৩ টেবিল চামচ

রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ

পোস্ত বাটা- ১ টেবিল চামচ

টকদই- ১ কাপ, 

শাহী জিরা- আধা চা চামচ, 

জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ

দারুচিনি- ৪ টা

লবঙ্গ- ৩-৪ টি

এলাচ- ৪ টা

মরিচ গুড়ো-১.৫ চা চামচ, 

গোলমরিচ গুড়ো- আধা চা চামচ, 

বাদাম বাটা- আধা কাপ,

তেজ পাতা- ২ টি,

কাঁচা মরিচ- ১০ টি,

পেঁয়াজ বেরেস্তা- ২ কাপ

লবণ - স্বাদমতো,

চিনি- ১ চা চামচ, 

জাফরন বা জর্দার রঙ- ২-৩ চিমটি,

দুধ - ১.৫ কাপ

কেওরা জল- ১ চা চামচ 

জয়ফল ও জয়ত্রী গুঁড়ো- সিকি চা চামচ, 

আলুবোখারা- ৮-১০ টি

আটা- দেড় কাপ ( সিল করাার জন্য) 


কাচ্চি বিরিয়ানির স্পেশ্যাল মসলাঃ

এলাচ-৪/৫ টা

দারুচিনি- ২ টা ( ২" লম্বা)

লবঙ্গ-৪ টা

তেজপাতা-১ টা

স্টার- ১ টা

মৌরি- ১ চা চামচ 

জায়ফল- চার ভাগের ১ ভাগ

জয়ত্রী- ২ টা 

শাহী জিরা- ১ চা চামচ 

কালো গোলমরিচ- ১ চা চামচ 

সাদা গোলমরিচ- ১ চা চামচ

শুকনো মরিচ-৬ টা

(একসাথে হালকা করে ভেজে নিবো।

ভাজা মশলাগুলো ঠাণ্ডা করে গুঁড়ো করে নিবো।)


প্রস্তুত প্রণালী:

রান্নার আগে খাসির মাংস বড় করে টুকরো করে কেটে লবণ পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিবো।

এবার মাংসে দই, দারুচিনি, এলাচ,  জয়ফল জয়ত্রী গুঁড়ো ও, গোলমরিচ গুড়ো, আদা-রসুন বাটা, পোস্ত বাটা, বাদাম বাটা, অর্ধেক বেরেস্তা,তেল ও ঘি অর্ধেক দিয়ে,তৈরি করে রাখা বিরয়ানির স্পেশ্যাল মসলা হাফ দিবো।  লবনসহ সব মসলা মাংসে দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে মেরিনেট করে ১ ঘন্টা রাখবো।

আলু কেটে ধুয়ে নিবো। এবার লবন মাখিয়ে হালকা ভেজে নিবো।

পোলাও বা বাসমতী চাল ভালভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখবো।

একটি পাত্রে চাল সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি নিয়ে এতে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা,শাহী জিরা ও লবন দিয়ে পানি ফুটা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।

পানি ফুটে উঠলে এতে পানি ঝরানো চাল দিয়ে রান্না করবো। ৭০% রান্না হলে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে রাখবো। আস্ত গরম মসলা তেজপাতা তুলে ফেলে দিবো।

দুধ এর মধ্যে জাফরন বা জর্দার রঙ মিশিয়ে রাখবো।

এবার প্রথমেই বিরায়ানির পাতিলে ঘি দিয়ে মুছে নিয়ে মেরিনেট করা মাংস গুলো বিছিয়ে নিবো, ভাজা আলু ও কয়েকটি কাঁচা মরিচ দিবো।

তারপর,

মাংস ও আলুর লেয়ারের উপর চাল দিয়ে সমান করে নিবো। এবার এর উপর কেওরা জল, আলুবোখারা,বাকি তেল বা ঘি, দুধে মিশানো জাফরান, বাকি বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিবো।

এবার ঢাকনা ভালভাবে আঁটকানোর জন্য আঁটার নরম খামির বানিয়ে পাত্রের চারপাশে লাগিয়ে ঢাকনা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিবো।

পাতিল চুলায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট রান্না করবো। তারপর চুলার আঁচ একদম কমিয়ে একটি তাওয়ার উপর পাতিল বসিয়ে আরো ১ ঘন্টা দমে রাখবো , ১ ঘন্টা পর ঢাকনা খুলে একটি খুন্তি দিয়ে হালকা ভাবে নেড়ে মাংস ও চাল মিশিয়ে নিবো। এবং প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করবো মজাদার কাচ্চি বিরিয়ানি। 

শাহী বোরহানি

 আস সালামু আলাইকুম। আজ আমি এক ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় পানীয় তৈরির রেসিপি নিয়ে এসেছি।বাসায় দাওয়াতের আয়োজনে পোলাও বা বিরয়ানী, রোস্ট, রেজালার আয়োজন হলে।  খাবার শেষে পানীয় হিসেবে আমরা কোল্ড ড্রিঙ্কস রাখি। এসব পানিয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর।  এসব ড্রিঙ্কস গুলো বাদ দিয়ে রাজকীয় ভাব আনতে পানিয় হিসেবে বোরহানি রাখতে পারি। বোরহানি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বানানোটাও সহজ। আজ আমি বোরহানির রেসিপি নিয়ে এসেছি।। এখন তাহলে শুরু করি...

শাহী বোরহানি

উপকরণঃ

টকদই- ১ কেজি

পুদিনাপাতা বাটা- হাফ কাপ

ধনেপাতা বাটা- হাফ কাপ

 টমেটো ক্যাচাপ- হাফ কাপ

কাঁচামরিচ বাটা-২ টেবিল চামচ

চিনি- ৩ টেবিল চামচ, 

পানি- ২ কাপ থেকে একটু অল্প

লবণ- স্বাদমতো 

বোরহানির মশলা তৈরিতে লাগবে:

ভাজা জিরা গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ 

ভাজা ধনিয়া গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ

সরিষার গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ

সাদা গোলমরিচ গুঁড়া-১ চা চামচ 

বিট লবণ-১ টেবিল চামচ


প্রস্তুত প্রণালীঃ

একটা বাটিতে ২ কাপ ঠান্ডা পানি নিবো তারপর পানিতে বোরহানি মশলা, টমেটো ক্যাচাপ, কাঁচামরিচ বাটা, চিনি, লবন, ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা বাটা একসাথে মিশিয়ে নিবো। তারপর একটা ছাঁকনিতে করে ছেঁকে পানিটা আলাদা করে নিয়ে, পানির নিচের তলানি গুলো ফেলে দিবো।

এবার একটা বড় বাটি বা গামলা টাইপ কিছু নিয়ে তাতে টকদই ঢেলে নিবো। ডাল ঘুটনি দিয়ে দই টাকে ভালো করে ফেটিয়ে নিবো। একদম যেন মিহি হয়ে যায় (ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করা যাবে না তাতে বোরহানি পাতলা হয়ে যায়)।

তারপর সেই ছেঁকে রাখা পানিসহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে আবারো ফেটিয়ে নিবো, ঘুটনি দিয়ে ঘুটে নিবো। 

সব একসাথে মিশে গেলেই আপনার বোরহানি তৈরী।

সবকিছু মিশানোর পরেই চেখে দেখবেন, যদি কিছু লাগে তাহলে আপনার স্বাদ মতন লবন ও চিনি দিতে পারেন।এবার জগ/বোতলে ভরে কিছুক্ষন ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। তবে গ্লাসে ঢালার আগে বোতল ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলবেন না....

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

তেহেরি

আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে তেহেরি সব চাইতে পছন্দের খাবার। আমার বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে। তবে তেহেরি রান্না করতে যেয়ে অনেকে বিরিয়ানি রান্না করে ফেলেন!

তেহেরি লাইট কালার হবে। 

বিরিয়ানির মত এত মসলা দেওয়া যাবে না।

একটা সময় জানতাম গরুর মাংস দিয়ে তেহেরি হয় আর খাসির মাংস দিয়ে হয় বিরিয়ানি। 

মোরগি দিয়ে হয় মোরগ পোলাও। 

কিন্তু এখন মুরগি বা গরুর মাংস দিয়েও হয় বিরিয়ানি!

আর কথা না বাড়িয়ে তেহেরি রেসিপি শুরু করি....

তেহেরি

উপকরণ :

মাংস চর্বি সহ (গরুর বা খাসি)- ১ কেজি

পোলাও/বাসমতি চাল- ৩ কাপ

(১কাপ চাল = ২০০ গ্রাম, আমি ১ কেজি মাংসের জন্য ৬০০ গ্রাম চাল নিয়েছি। আর এই অনুপাতে রান্না করলেই তেহারি বেশি মজা হবে।)

 দুধ- ১ কাপ

লবন-  স্বাদমত বা প্রয়োজন মত

ঘি বাসরিষার বা সয়াবিন তেল- পৌনে ১ কাপ 

পেঁয়াজ কুচি- পৌনে ১ কাপ 

আদা বাটা- ৩ চা চামচ 

রসুন বাটা- ২ চা চামচ 

কাঁচামরিচ বাটা- ১০-১২ টি

তেহারি মশলা- ১ টেবিল চামচ

 টকদই-হাফ কাপ

কাঁচা মরিচ- ২৫ টা

কিসমিস- ২ টেবিল চামচ,

কেওড়া জল- ১ চা চামচ 

তেহারি মশলা:

এলাচ- ৫ টা

দারুচিনি- ২ ইঞ্চি মাপের ২ টা

জয়ফল - মাঝারি সাইজের ১ টা

জয়ত্রী- ২ টা

সাদা গোলমরিচ- ২০ টা

[এই সব একসাথে না ভেজে কাঁচা অবস্থায় গুঁড়ো করে নিতে হবে। এটাই তেহারি মশলা। প্রতি কেজি মাংসে ১ টেবিল চামচ করে এই মশলা ব্যবহার করতে হবে।]

প্রস্তুত প্রণালী :

মাংসের টুকরো গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবং অবশ্যই কিছুটা চর্বিসহ মাংস বাছাই করে নিবো। হাড্ডি থাকলেও সমস্যা নেই না থাকলেও অসুবিধা নেই। চাল ভালো করে ৩/৪ বার কচলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবং ছাঁকনির ওপরেই বা আলাদা প্লেটে বিছিয়ে দিবেন যাতে আলগা ভেজা ভাব সরে একটু ঝরঝরে হয়ে যায়। প্রথমেই মাঝারি আঁচে হাড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ হালকা করে ভেজে নিবো। বেরেস্তার মতো সোনালী করে ভাজতে হবে না, একটু লালচে ভাব হলেই হবে। তারপর এতে আদা,রসুন ও কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে ১ মিনিট একটু কষিয়ে নিবো। তারপর তেহারি মশলা ও লবন দিয়ে আবার ১ মিনিট একটু কষিয়ে নিয়ে মাংস ও টকদই দিয়ে দিবো। ৪ থেকে ৫ মিনিট এই আঁচে কষিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। আগেই কোনো পানি দিবেন না। মাংস থেকে বের হওয়া পানিতেই মাংস প্রায় সেদ্ধ হয়ে যাবে। তারপরও যদি মনে করেন মাংস শক্ত আছে আবারও ১ কাপ বা মাংস সেদ্ধ হতে যেটুকু পানি লাগে দিয়ে ঢেকে দিবো.. মাংস ভালো মতো সেদ্ধ করতে হবে তবে একদম নরম বা গলিয়ে ফেলা যাবে না ।মাংসের ঝোল শুকিয়ে মশলা গা মাখা ও তেল বের হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। রান্না হয়ে গেলে একটা ঝাঁজরি চামচ দিয়ে তেল মশলা থেকে মাংসগুলো তুলে নিবো।  তারপর ওই তেল মশলার মধ্যেই আগে থেকে ঝরিয়ে রাখা চালগুলো ঢেলে ৪/৫ মিনিট ধরে একটু ভুনে নিবো। কিছুক্ষন ভুনে লবন, দুধ ও গরম পানি দিন। চাইলে পুরোটাই পানি দেয়া যাবে, যত কাপ চাল তার দ্বিগুন পানি। পানি ফুটে উঠলে তুলে রাখা মাংস দিয়ে মিশিয়ে দিবো। তারপর হাই হিটে বলগ আসা পর্যন্ত রান্না করবো। কিছুক্ষন পর পানি কমে আসলে আস্ত কাঁচামরিচ ও স্বাদমত লবন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিবো… 

তারপর আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিবো। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চিনি, কিসমিস ও কেওড়া জল ছিটিয়ে হালকা করে নেড়ে আবার ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবো। এবার চুলা বন্ধ করে দিবো। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে, গরম গরম পরিবেশন করবো, বোরহানি, সালাদের সাথে সাথে.....

জর্দা

আস সালামু আলাইকুম।  সবাই কেমন আছেন? আমার আজকের রেসিপি জর্দা। আমাদের বাংলাদেশিরা বলি জর্দা আর ভারতে বলে জর্দা পোলাও। চলুন রান্না শুরু করি..

জর্দা

উপকরনঃ

পোলাও চাল বা বাসমতী চাল – ২ কাপ

তেল - ১ টেবিল চামচ,

চিনি- ১ কাপ (বেশী মিষ্টি চাইলে বাড়াতে পারেন)

ঘি-৪ টেবিল চামচ।

তেজপাতা-৩ টা

দারুচিনি ২টি টুকরা, 

লবঙ্গ- ৪ টি, 

এলাচি ৫টি

কমলা রস -১ কাপ,

নারিকেল -আধা কাপ (ইচ্ছা)

লাল- কালো মিষ্টি -১০-১২ টি 

কাঠ বাদাম কুচি-২ টেবিল চামচ,

মোরোব্বা কাঁটা - ২ টেবিল চামচ ,

জর্দার রঙ- আধা চা চামচ,

গুঁড়া দুধ- আধা কাপ

কমলার খোসা সহ কমলা কুচি- ১ টেবিল চামচ,

মালাই বা দুধের ক্ষিরসা- ১ কাপ

লবণ- সিকি পরিমাণ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে চাল ধুয়ে ভিজায়ে রাখবো আধা ঘন্টা। এবার ছয় কাপের মত পানি, দুটি তেজপাতা, সামান্য লবণ, ১চা চামচ তেল ও জর্দার রঙ সহ চাল সিদ্ধ করে নিবো।  চাল বেশী সিদ্ধ বা শক্ত যেন না হয়, ৭০% হয়ে গেলে চালনিতে ঢেলে ছেকে নিবো। পানি ভাল ভাবে ঝরিয়ে নিবো।

এখন একটি প্যানে ঘি গরম করে মিডিয়াম আঁচে রেখে, আস্ত গরম মশলা  কিশমিশ, বাদাম কুচি হালকা ভেজে নিবো তা থেকে কিছু কিসমিস ,বাদাম কুচি ভাজা তুলে রাখবো ডেকুরেশনের জন্য। কিছু তুলে রাখার পর নারিকেল দিয়ে আর একটু ভেজে তারপর চিনি, পানি ও কমলার রস, মুরব্বা দিয়ে নেড়ে নিবো। বলক আসলে সিদ্ধ ভাত দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো। এবার ঢেকে চুলার আঁচ মিডিয়াম থেকে কমিয়ে রাখবো। ১০ মিনিট রান্না করবো।

১০ মিনিট পর আধা কাপ গুঁড়া দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিবো আর কিছুক্ষণ পর  আবার ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে হালকা নেড়ে মিশাবো এবার কমলার খোসা সহ কমলা কুচি দিয়ে  আবারও ১০ মিনিট ঢেকে দমে রাখবো। ভাত একদম ফুটে গেলে নামিয়ে সারভিং ডিশে তুলে নিবো আর বাকি ভেজে রাখা কিশমিশ, বাদাম কুচি আর মাওয়া ও ছোট লাল-সাদা মিষ্টি , মালাই বা দুধের ক্ষিরসা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট কেক

আজ চকলেট কেক নিয়ে হাজির হলাম। চলুন তৈরি করি... 

চকলেট কেক

উপকরণঃ

ময়দা- আধা কাপ,

কোকো পাউডার -আধা কাপ,

ডিম- ২ টি,

চিনি- পৌনে ১ কাপ (১৭০ গ্রাম), 

বেকিং পাউডার- আধা চা চামচ, 

তেল- পৌনে ১ কাপ, 

গুঁড়ো দুধ- ১ টেবিল চামচ,

কুকিং চকলেট- ২ টেবিল চামচ, 

ভ্যানিলা এসেন্স- আধা চা চামচ, 

মাখন- ১ চা চামচ। 

প্রণালীঃ

প্রথমে মাখন একটি ফ্রাইং প্যানে গলিয়ে নিয়ে এতে কুকিং চকলেট মিশিয়ে নিবো। চকলেট গলে গেলে চুলা বন্ধ করে গলানো চকলেট একটি বাটিতে রেখবো। একটি বড় বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ৫ মিনিট বিট করবো। ফোমের মত হয়ে গেলে এতে চিনি মিশিয়ে ২ মিনিট বিট করবো। এরপর এতে তেল মিশিয়ে আরো ২ মিনিট বিট করবো। সবশেষে ডিমের কুসুম ও ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ১ মিনিট বিট করবো। 

আরেকটি বাটিতে ময়দা চেলে নিবো। চেলে নেয়া ময়দার মধ্যে দুধ, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।

ডিম যে বাটিতে বিট করেছিলেন সেই বাটিতে ১ টেবিল চামচ করে ময়দার মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ধীরে ধীরে মেশাবো। দ্রুত মেশাতে গেলে কেক ফুলবে না। এই ধাপে ভুলের কারণে অনেকের কেক ফুলে না। 

পুরো ময়দার মিশ্রণ মেশানো হয়ে গেলে ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি-হিট করে নিবো। এবার কেকের ডাইসে পেপার বিছিয়ে তার উপর তেল মাখিয়ে নিবো, তারপর কেকের মিশ্রণ ঢেলে দিবো। প্রি-হিট হয়ে গেলে কেক ৩০-৪০ মিনিটের জন্য বেক করবো।

ওভেনে দেয়ার ২৫ মিনিট পর কেক চেক করে দেখবো। চেক করার জন্য কেকের মধ্যে টুথ পিক ঢুকিয়ে দেখবো। যদি দেখেন টুথপিক বের করার পর তাতে মিশ্রণ লেগে নেই তাহলে বুঝআ গেলো কেক হয়ে গেছে। না হলে আরো ১০ মিনিট বেক করবো। কেক বেক হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে ডাইস থেকে সাবধানে উঠিয়ে নিবো। এবার এর উপর সামান্য পানি ছিটিয়ে নিবো। এবার কেক এর ঠিক মাঝে সমান করে কেটে নিবো। কেক এর দুইভাগ ঠান্ডা হতে দিবো।

চকলেট ফ্রস্টিংঃ

এটি কি যারা জানেন না তাদের জন্য বলে রাখি, চকলেট ফ্রস্টিং হল কেকের উপরে ও মাঝে যে ক্রিম দেয়া হয় সেটি। এখন জেনে নিন ফ্রস্টিং বানাতে হলে কি কি লাগবে-

মাখন- ১০০ গ্রাম, 

আইসিং স্যুগার- ২০০ গ্রাম, 

বরফ- ৩ টা কিউব, 

কোকো পাউডার- ৩ টেবিল চামচ, 

চকলেট ফুড কালার -১ চা চামচ, 

কুকিং চকলেট- আধা কাপ, 

তরল দুধ- ২ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ

কুকিং চকলেট সামান্য মাখন এর সাথে প্যানে গলিয়ে নিবো। এবার একটি বাটিতে মাখন, আইসিং স্যুগার, কোকো পাউডার নিয়ে তা ভালো করে ৩ মিনিট বিট করবো। তারপর এতে ১ টেবিল চামচ তরল দুধ ঢেলে আবার ১ মিনিট বিট করবো,

এরপর বরফ কিউব ও বাকি তরল দুধ ঢেলে ২-৩ মিনিট বিট করবো। ক্রিম / ফ্রস্টিং মিহিন হয়ে গেলে বিট করা বন্ধ করবো। 

কেক ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি ভাগের উপর সমান করে ক্রিম লাগিয়ে নিবো। এর উপর আরেকটি ভাগ রেখে তার উপর সমান ভাবে ক্রিম লাগিয়ে  পছন্দ মতো ডিজাইন করবো......

হয়ে গেলো চকলেট কেক...

[জানিয়ে দিচ্ছি,আমি এখানে ৬" মোল্ড ইউজ করেছি ১ পাউন্ড কেক এর জন্য...]

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

খাসি বা গরুর পায়ের নেহারি

নানরুটি আর নেহারি সকাল বেলার নাস্তা তৈরি হলে কেমন হয়? আজ আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শেখা নেহারির রেসিপি আপনাদের শেয়ার করছি।  চলুন রান্না শুরু করি.....

খাসি বা গরুর পায়ের নেহারি

উপকরণ :

খাসি বা গরুর পায় সহ আরও কিছু নলি - ২ কেজি

পায়া সিদ্ধ করার সময়:

আদা - ৩ টা কাটা টুকরো

রসুন- বড় ১ টা খোসা ছাড়িয়ে নিবো। 

তেজপাতা- ২ টা

কষানোর জন্য :

আদা বাটা- দেড় টেবিল চামচ, 

রসুন বাটা- দেড় টেবিল চামচ, 

মরিচের গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ, 

ধনিয়ার গুঁড়া - ১ টেবিল চামচ, 

জিরা গুঁড়া - দেড় চা চামচ, 

পেঁয়াজ বাটা- এক কাপ,

দারুচিনি- ৩ টা (২" পরিমাণ)

এলাচ - ৫ টা ( ছোট),

লবঙ্গ- ৫ টা

গোলমরিচ বাটা- ১ টেবিল চামচ, 

তেজপাতা- ৩ টা,

লবণ - পরিমাণ মতো 

নেহারির একটা স্পশাল মসলা তৈরি করে নিতে হবে:-

লবঙ্গ- ৫ টা

বড় এলাচ- ৩-৪ টা

স্টার - ১ টা,

শাহী জিরা - ১ চা চামচ, 

( এই মসলা গুলো ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিবো)

তেতুলের কাত - আধা কাপ,

মেথি- ২-৩ টেবিল চামচ ( কাপড়ে পুঁটলি করে নেহারিতে দিতে হবে)

কর্ণফ্লাওয়ার- ২/৩ টেবিল চামচ

নেহারি স্পেশাল বাগার:-

পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ

রসুন কুচি- ২ চা চামচ

আদা কুচি- ২ চা চামচ

সব শেষে:-

ধনিয়া পাতা কুচি - পরিমাণ মতো

আদা কুঁচি -১ টেবিল চামচ


প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমে খাসি বা গরুর পা কেটে পরিস্কার করে নিতে হবে আর সাথে নলির হাড় গুলো ধুয়ে নিবো।

এবার প্রেশারকুকারে কেটে রাখা পা আর নলি গুলো সিদ্ধ করে নিবো। পানি হাড় গুলো থেকে একটু বেশি থাকবে।সিদ্ধ করার সময় আদা কেটে রাখা টুকরো, রসুন কোয়া,তেজপাতা,সামান্য লবণ সহ সিদ্ধ করে নিবো। প্রথমে ২-৩ টা হুইসেল হবার পর চুলা অল্প আঁচে রেখে ১ ঘন্টা জ্বাল দিবো। যখন হাড় থেকে মাংস খুলে  আসবে তখন নামিয়ে নিবো প্রেশারকুকার।  এবার চুলায় পাতিল বসিয়ে, তেলে গরম করে, তেজপাতা, এলাচ,দারুচিনি, লবঙ্গ দিয়ে একটু ভেজে নিবো। এবার পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা,গোলমরিচ বাটা দিয়ে ভুনবো, মসলার কাঁচা গন্ধ দূর হলে,  মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, আর তৈরি করে রাখা নেহারি মসলা আর লবণ পরিমাণ মতো দিয়ে কষিয়ে নিবো। তেল বের হবার পর, প্রেশারকুকার থেকে হাড় সহ মাংস তুলে নিবো আর ভাল করে নেড়ে করিয়ে নিবো তারপর নেহারির ঝোলটা দিয়ে ভাল করে ১৫ মিনিট রান্না করে নিবো।

১৫ মিনিট পর তেতুলের কাত, মেথি পুটলি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে কর্ণফ্লাওয়ার গুলে দিয়ে নেড়ে দিবো।  অন্য চুলায় নেহারি বাগার দেওয়ার জন্য কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে রসুন কুঁচি,আদা কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভেজে নেহারিতে ঢেলে দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিবো। কিছুক্ষণ চুলায় অল্প আঁচে রেখে রান্না করবো।

তারপর সার্ভিং ডিশে তুলে ধনিয়া পাতা কুঁচি আর আদা কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করবো নানরুটি, পরোটা,লুচির সাথে।

 

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

টক বেগুন

আস সালামু আলাইকুম।  আজ আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম। চলুন শুরু করি....

টক বেগুন

উপকরণ :

বেগুন - ২ টি ( গোল বেগুন) 

 পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ,

তেজপাতা-১ টা

শুকনা মরিচ- ১ টা,

আদা বাটা- আধা চা চামচ, 

রশুন বাটা - ১ চা চামচ, 

পেঁয়াজ বাটা - ১ টেবিল চামচ,

 হলুদের গুঁড়ো - ১ চা চামচ,

মরিচের গুঁড়ো- ১ চা চামচ, 

 ধনিয়ার গুঁড়াো- ১ চা চামচ, 

জিরার গুঁড়ো - ১ চা চামচ

 টমেটো কুচি- ১ টা,

পাঁচফোড়ন-১ চা চামচ ,

তেতুলের কাত - আধা কাপ,

কাঁচা মরিচ- ৪/৫ টা

ধনিয়া পাতা - পরিমাণ মত, 

 লবণ - পরিমাণ মত,

চিনি- ১ চা চামচ,

তেল- প্রয়োজনমতো,

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে বুগুন গুলো গোল করে কেটে লবন পানিতে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখবো।তারপর পানি দিয়ে আবার ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে রাখবো।এবার বেগুনে- হাফ চা চামচ আদা রসুনবাটা, হাফ চা চামচ জিরা গুঁড়া, হাফ চা চামচ হলুদ, মরিচের গুঁড়া, লবণ ও ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে মাখিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিবো। এবার তেঁতুলের কাত তৈরি করে রেখে দিবো।  ১৫ মিনিট পর চুলায় প্যান বসিয়ে তেল গরম করে তাতে বেগুন গুলো ৭০% ভেজে নিবো। এখন অন্য একটা প্যান চুলায় বসিয়ে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল গরম করে ১ টা তেজপাতা, ১ টা আস্ত শুকনো মরিচ, পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেজে নিবো। এবার পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে নিবো, পিঁয়াজ নরম হয়ে আসা পর্যন্ত। তারপর বাটা মসলা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনবো। অল্প পানি দিয়ে ভাল করে বাটা মসলা কষিয়ে গুঁড়া মসলা গুলি দিবো। স্বাদমতো লবণ দিয়ে নেড়ে কষিয়ে নিবো। টমেটো কুচি দিয়ে ভাল করে ভুনবো। টমেটো গলে যাবার পরে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখবো।  তারপর তেতুলের কাত ও ১ চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে ভাজা বেগুন গুলো সাজিয়ে দিবো, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করে, চুলা বন্ধ করে, বেগুন গুলো সার্ভিং ডিশে তুলে গরম গরম পরিবেশন করবো, পোলাও বা ভাতের সাথে।

সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

চিলি চিকেন

ফ্রাইড রাইসের রেসিপি দেওয়ার পর মনে হলো সাথে চিলি চিকেন রেসিপিটাও দিলে ভালো হয়, নতুন রাধুনি যারা তাদের ইচ্ছে হলে ঘরে চাইনিজ রান্না করে পরিবারকে সারপ্রাইজ দিন।আসুন জেনে নেই কি ভাবে চিলি চিকেন তৈরি করা যায়.....


চিলি চিকেন

উপকরণ:

মেরিনেট:

চিকেন  – ৪০০ গ্রাম,

আদা বাটা-আধা টেবিল চামচ, 

রসুন বাটা- আধা টেবিল চামচ,

গোলমরিচ গুঁড়ো-১ টেবিল চামচ,

ডিম(১ টা ডিম ফেটানো)- ২ টেবিল চামচ,

কর্নফ্লাওয়ার– ৩ টেবিল চামচ,

ময়দা – ২টেবিল চামচ,

সয়াসস – ১টেবিল চামচ,

লবণ- স্বাদমতো, 

রান্নার জন্যঃ

ক্যাপসিকাম (কিউব করে কাটা)-হাফ কাপ,

পেঁয়াজ (কিউব করে কেটে পাপড়ি আলাদা করে)-হাফ কাপ,

আদা কুচি –আধা টেবিল চামচ,

 রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ,

 কাঁচামরিচ- ৪-৫ টা (ফালি)

সয়া সস-১ টেবিল চামচ,

চিলি সস- ১ টেবিল চামচ,

টমেটো সস-১ টেবিল চামচ,

গোলমরিচ গুঁড়ো--১ টেবিল চামচ,

কর্ন ফ্লাওয়ার-২ টেবিল চামচ,

আজিনামোটো- ১ চা চামচ,

 লবণ-স্বাদমতো

 তেল-পরিমাণমত, 

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমেই মুরগির বুকের মাংস গুলোকে ছোট কিউব করে কেটে, ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো।এবার মাংস গুলোতে আদা বাটা, রসুনবাটা,সয়াসস, গোলমরিচের গুঁড়া,  লবণ, ময়দা ও কর্ণফ্লাওয়ার ও ফেটানো ডিম দিয়ে ভাল করে মেখে ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখবো। এবার প্যানে তেল গরম করে চিকেন গুলো বাদামি করে ভেজে নিবো। 

 অন্য একটা প্যানে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ তেল গরম করে রসুন কুচি দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভেজে আদা কুঁচি দিবো। হালকা ভেজে কিউব করে কাটা পিঁয়াজ পাপড়ি গুলো দিয়ে নাড়বো তারপর কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নাড়বো। সয়াসস দিবো,  টমেটো সস দিবো, চিলিসস দিয়ে নেড়ে ক্যাপসিকাম দিবো। এবার চিকেন দিবো। ভাল করে নেড়ে আধা কাপ গরম পানি দিবো সাথে পরিমাণ মত লবণ দিয়ে নেড়ে দিবো। পানি টেনে যাবার পর কর্ণফ্লাওয়ার অল্প পানিতে গুলে চিকেনে দিয়ে নেড়ে গোলমরিচের গুঁড়া, আজিনামোটো দিয়ে নেড়ে দিবো,আঠালো হয়ে আসলে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে  গরম গরম পরিবেশন করবো ফ্রাইড রাইস বা পোলাও এর সাথে।

ফ্রাইড রাইস

 আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি চাইনিজ ফ্রাইড রাইস। চলুন শুরু করি...... 

ফ্রাইড রাইস

উপকরণ :

চাল- ৫০০ গ্রাম,

মুরগির বুকের মাংস(জুলিয়ান কাটা)- ১ কাপ,

গাজর, 

মটর শুঁটি,

বরবরটি কুচি -আধা কাপ,

পেঁয়াজপাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ,

পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ,

আদা-রসুন কুচি-১ টে.চামচ,

কাঁচামরিচ ৫-৬টি,

টমেটোসস - ১ টে. চামচ,

ওয়েস্টার সস -১ টে. চামচ,

সয়াসস- ১ টে. চামচ, 

গোলমরিচগুঁড়া- ১ চামচ,

আজিনামোটো-১ চা চামচ,

ডিম-১ হালি,

তেল/বাটার আধা কাপ,

লবণ -স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালী:

চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিবো। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে পানি গরম করবো, পানি ফুটে উঠলে চাল দিবো।চাল ৭০% সিদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো। ভাত যেন শক্ত থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মুরগির মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সামান্য লবণ মেখে ভেজে নিবো।সবজিগুলো অল্প লবণ দিয়ে ভেজে রাখবো। এবার ডিম ফেটে গরম তেলে ঝুরি করে ভেজে রাখবো।এবার প্যানে তেল গরম করে রসুন কুচি হালকা ভেজে আদা কুঁচি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ভেজে পিঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে হালকা ভেজে তাতে সিদ্ধ করা চাল দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিবো। এবার ভাজা  মুরগির মাংস আর ভাজা সবজি গুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিবো। এবার টমেটোসস,ওয়েস্টারসস, পেঁয়াজপাতা কুচি, ডিম ঝুরি ভাজা ও গোলমরিচ গুঁড়া, আজিনামোটো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ৫ মিনিট নেড়ে ভেজে নিবো। এবার চুলা বন্ধ করে ২ মিনিট ঢেকে রাখবো। 

তারপর গরম গরম পরিবেশন করবো....

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

বিফ ভিন্দালু

 আস সালামু আলাইকুম।  গরুর মাংসের ভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আমার এই রেসিপি পর্তুগীজদের থেকে পাওয়া ভারতবর্ষের একটি রেসিপি। চলুন রান্না শুরু করি....

বিফ ভিন্দালু


উপকরণঃ

গরুর মাংস- ১ কেজি,

পেঁয়াজ কুচি -১ কাপ,

পেঁয়াজ কিউব করে কাটা- ১ কাপ,

 রসুনকুচি -১ টে.চামচ,

রসুনবাটা - ১ টে. চামচ,

আদাবাটা - ১ টে.চামচ,

জিরাবাটা - ১ চা-চামচ,

ধনেবাটা - ১ টেবিল চামচ,

সরিষাবাটা - ৩ টে.-চামচ,

হলুদগুঁড়া - ১ চা-চামচ,

মরিচ বাটা - ১ টে. চামচ,

গোল-মরিচ বাটা- ১ টে.চামচ, 

গরম-মসলার গুঁড়া -১ চা চামচ,

জয়ফল ও জয়ত্রীগুঁড়া- হাফ চা চামচ,

সাদা সিরকা- ৪ টে.চামচ,

আপেল সিডর ভিনেগার-১ টে.চামচ, 

দারুচিনি (দেড় ইঞ্চি)- ৩ টা,

এলাচ -৪টি,

লবঙ্গ- ৪টি,

তেজপাতা ২টি,

চিনি -১ চা চামচ,

টমেটো পিউরি ৩ টে.চামচ,

কাঁচামরিচ- ৫/৬টি,

সয়াবিন তেল- ১ কাপ,

লবণ -পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালীঃ

মাংস টুকরো করে, ধুয়ে নিন, পানি ঝরিয়ে, বাটা মসলা ও গুঁড়ো মসলা দিয়ে মেখে ৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। 

৩০ মিনিট পর চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিন, তেল গরম হলে তেজপাতা, এলাচ,দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভেজে নিন।

রসুনকুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন।

এবার সিরকা ও মসলা মাখানো মাংস দিয়ে ভাল করে নেড়ে কষিয়ে নিন।

এ সময় লবণ দিয়ে দিন।

মাংস থেকে বের হওয়া পানি শুকালে অল্প অল্প পানি দিয়ে মাংস কষাতে থাকুন। 

মাংস সিদ্ধ হলে টমেটো পিউরি, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখুন।

১০ মিনিট পর চিনি দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে রান্না করতে হবে।

পেঁয়াজ নরম হলে কাঁচামরিচ ও গরম-মসলার গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।

পরিবেশনের সময় ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে ডেকুরেশন করুন।

পোলাউ, পরোটা ও ভাতের সাথে খেতে দারুণ....

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ভুড়ি বা বট ভুনা

কোরবানি ঈদে যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই গরু বা খাসির ভুড়ি পরিস্কার করে রেখে দিয়েছেন। অনেকে ফ্রিজে রেখেছেন আবার অনেকে জ্বাল দিয়ে রেখেছেন। আমি কিন্তু ৩ দিন বটের তেলের উপর জ্বাল দিয়ে রেখে রান্না করেছি। আজ সেই রেসিপি আপনাদের শেয়ার করছি। চলুন শুরু করি....

ভুড়ি ভুণা
উপকরণ
বট(জ্বাল দেওয়া গরুরভুড়ি)-৫০০ গ্রাম,
বড় আলু(কিউব করে কাটা)-১ টা,
আদা বাটা-১ টেবিল চামচ,
রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ,
জিরাবাটা-১ চা চামচ,
মৌরিবাটা-১ চা চামচ,
রাধুনিবাটা-১ চা চামচ,
জয়ফলবাটা-হাফ চা চামচ,
জয়ত্রীবাটা-হাফ চা চামচ,
গরমমসলা বাটা-হাফ চা চামচ,
মরিচের গুঁড়া-২ টেবিল চামচ,
হলুদের গুঁড়া-১ চা চামচ,
ধনিয়ার গুঁড়া-১ টেবিল চামচ,
পিঁয়াজবাটা-১ টেবিল চামচ,
পিঁয়াজ কুচি-১ কাপ,
তেজপাতা-২ টা,
এলাচ-৪ টা,
দারচিনি টুকরা-(আড়াই ইঞ্চির)৩ টা,
লবঙ্গ-৫ টা,
মৌরি,রাধুনি,জিরা(এক সাথে তাওয়াতে টেলে গুঁড়া) ১ চা চামচ,
লবণ-স্বাদমতো,
সয়াবিন তেল-২ টেবিল চামচ,
কাঁচা মরিচ-৬ টা,
চিনি-হাফ চা চামচ,

প্রস্তুত প্রণালীঃ

সব উপকরণ তৈরি রেখে,প্রথমেই একটা প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে তাতে তেজপাতা,দারচিনি, এলাচ,লবঙ্গ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভেজে নিবো তারপর পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিবো। তারপর আদা,রসুন বাটা দিয়ে ৩০ সেকেন্ড মসলা ভুনবো। তারপর সামান্য একটু গরম পানি দিয়ে মসলা কষাবো আর তাতে বাকি সব মসলা ও লবন দিয়ে ভাল করে কষাবো। পাশের চুলায় অন্য একটা প্যানে আলু সামান্য লবন দিয়ে ভেজে নিবো। মসলা কষে আসলে জ্বাল দেওয়া ভুড়ি বা বট দিয়ে ভাল করে নেড়ে বট কষাবো তারপর আলু গুলো দিয়ে আরও ভুনে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করবো। এবার কাঁচা মরিচ আর চিনি দিয়ে ভাল করে নেড়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রান্না করবো।যখন পানি শুকিয়ে বটের তেল বের হবে তখন নেড়ে আরও ভাজা ভাজা করে ভুনে নিবো। নামানোর আগে মৌরি,রাধুনি,জিরার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম গরম নানরুটি,৷ পরোটা, ভাত পছন্দ অনুযায়ী পরিবেশন করবো।

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

আফগানি চিকেন শিক মালাই কাবাব

আস সালামু আলাইকুম। আজ আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি আফগানি চিকেন মালাই শিক কাবাব-

চলুন রেসিপি শুরু করি....


আফগানি চিকেন শিক মালাই কাবাব

উপকরণঃ

কাবাব তৈরির:

মুরগির বুকের মাংসের মিহি কিমা- ৫০০ গ্রাম,

বড় পিঁয়াজ কুঁচি - ২ টা,

কাঁচা মরিচ ( বিচি ছাড়ানো মিহি কুচি)- ২ টেবিল চামচ,

মরিচের গুঁড়া - ১ চা চামচ, 

ধনিয়ার গুঁড়া - ১ চা চামচ, 

গরম মসলা- হাফ চা চামচ,

ডিম- ১ টা, 

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী,

আদা বাটা-১ চা চামচ, 

রসুন বাটা - ১ চা চামচ, 

ঘি- ১ টেবিল চামচ,

কাবাব মসলা- ১ টেবিল চামচ, 

মালাই তৈরির:

পিঁয়াজ কুচি - ১ কাপ,

কাজুবাদাম - ৫০ গ্রাম,

কাঁচা মরিচ কুঁচি - ২ টেবিল চামচ, 

আদা রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ, 

ধনিয়া গুঁড়া - ১ চা চামচ, 

মরিচের গুঁড়া - ১ চা চামচ, 

গরম মসলার গুঁড়া - হাফ চা চামচ, 

টক দই ( ফেটানো)- হাফ কাপ,

লবণ- স্বাদমতো, 

সয়াবিন তেল- হাফ কাপ,

বাটার- ১ টেবিল চামচ, 

চিনি- হাফ চা চামচ, 

দুধ(ননি যুক্ত)- ১ কাপ,

ঘি- ১ টেবিল চামচ, 

পানি- ১ কাপ,

ধনিয়াপাতা কুঁচি - ১ মুঠো।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমেই জানিয়ে দিচ্ছি এই শিক কাবাবের চিকেন কিমা মিহি শুকনো থাকতে হবে। মানে কিমা বাটার সময় পানি ব্যবহার করা যাবে না।

এবার একটা ডিশে চিকেন কিমা নিবো সাথে কাবাব তৈরির উপকরণ গুলো দিয়ে ভাল করে হাত দিয়ে মাখিয়ে মিশাবো। এবার শিকে কাবাব মাখানো এক মুঠো নিয়ে লাগিয়ে নিবো। আমি এক এক করে কাবাব তৈরি করবো। আর চুলার আগুনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছেকে নিবো। আর এই কাবাব গুলো শিক থেকে বের করে নিবো। এভাবে প্রতিটা কাবাব তৈরি করে নিবো।

কাবাব তৈরির পর চুলায় প্যান বসিয়ে ১ টেবিল চামচ বাটার দিয়ে কাজুবাদাম দিয়ে হালকা ভেজে নিবো তারপর পিঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে নিবো। এবার প্যান থেকে বাটিতে ভাজা গুলো ঠান্ডা করে ব্লেন্ড মিহি পেস্ট করে নিবো।

এবার প্যানে তেল দিয়ে গরম করে আদা রসুন বাটা দিবো হালকা ভেজে মরিচের গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড ভুনে নিবো। এবার দিবো ব্লেন্ড করে রাখা কাজুবাদাম, পিঁয়াজ, কাঁচামরিচের পেস্ট দিয়ে ভাল করে কষাবো কিছুক্ষণ তারপর বাটি ধুয়ে অল্প পানি দিয়ে ভাল করে কষাবো। এবার ফেটানো টক দই দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিবো। যখন গ্রেভিতে বলগের মত আসবে তখন ১ চা চামচ লবণ বা স্বাদ অনুযায়ী আর গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে হালকা কষিয়ে তৈরি করা কাবাব গুলো দিয়ে ভাল করে গ্রেভির সাথে মিশিয়ে নিবো। এবার দিয়ে দিবো ১ কাপ পানি। ভাল করে নেড়ে দিবো। পানি কমে আসলে এবার দিয়ে দিবো ১ কাপ ঘন দুধ ও চিনি, তারপর ভাল করে নেড়ে নিবো।

ঘন হয়ে আসার পর চুলা বন্ধ করে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে এক মুঠো ধনিয়াপাতা কুঁচি ছড়িয়ে  সার্ভিং ডিশে তুলে নিয়ে নানরুটি, পোলাও, পরোটা পছন্দ অনুযায়ী পরিবেশন করবো।

শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

গরুর মাংসের কালা ভুনা

 ঈদ মোবারক। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের দিন অনেক কাজের মঝেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম, ঈদ স্পেশাল গরুর মাংসের কালা ভুনা। চলুন শুরু করি :-------


গরুর মাংসের কালা ভুনা

উপকরণ:

গরুর মাংস – ১ কেজি (চর্বিবিহীন, মাঝারি টুকরা)

পেঁয়াজ – 2 কাপ (স্লাইস করে ভেজে রাখা)

টক দই – ১/২ কাপ,

আদা বাটা – ১.৫ টেবিল চামচ,

রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ,

শুকনো মরিচ গুঁড়ো – 2 চা চামচ,

হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

,ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ,

জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ,

গরম মসলা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ,

দারচিনি – ২ টুকরা,

এলাচ – ৪টি

লবঙ্গ – ৪টি,

তেজপাতা – ২টি,

শুকনো মরিচ – ৩-৪টি,

চিনি – ১ চা চামচ (গাঢ় রঙ আনতে),

সরিষার তেল – ১ কাপ,

লবণ – স্বাদমতো,

পানি – পরিমাণমতো,

কাঁচা মরিচ – ৫-৬টি,


প্রস্তুত প্রণালীঃ

গরুর মাংসে আদা-রসুন বাটা, টক দই, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ, ধনে, জিরা, লবণ ও অল্প চিনি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখবো। সরিষার তেলে পেঁয়াজ ভেজে বাদামি করে তুলে রাখবো।এবার গরম তেলে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ও শুকনো মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিবো। এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢেকে দিবো।কম আঁচে ঢেকে রাখবো যেন মাংসের নিজের পানি ও মসলা দিয়ে সেদ্ধ হয়।মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ভাজা পেঁয়াজ দিবো ও ভালো করে কষাতে থাকবো যতক্ষণ না তেল উপরে উঠে আসে এবং কালো ভাব আসে।গরম মসলা গুঁড়ো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে রাখবো ৫ মিনিট। এরপর চুলা বন্ধ করে দিবো। এবার, গরম গরম ভাত, পরোটা বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করবো।


শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

ক্রিমি পার্টি কাস্টার্ড

 ঈদুল আযহা উপলক্ষে মজাদার ডেজার্ট ক্রিমি কাস্টার্ড রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম। 

চলুন দেখি কি করে ঘরেই পার্টি কাস্টার্ড নিজের হাতে তৈরি করে ফেলতে পারি...


উপকরণঃ

দুধ(ঘন)- ১ লিটার,

ডিমের কুসুম -২ টা,

কাস্টার্ড পাউডার- ২ টেবিল চামচ,

ভেনিলা এসেন্স-আধা চা চামচ, 

কনডেন্স মিল্ক - ১ টা,

ডানো ক্রিম- ১ টা,

চিনি- ১ কাপ (প্রয়োজনমত),

স্পঞ্জ কেক- ২ পাউন্ড ( ছোট কিউব করে কেটে নিতে হবে)

আনার- ১ কাপ,

আপেল- ২ টা,

কলা (বড়)- ২ টা,

আম - ২ টা,

আঙ্গুর লাল কাটা- ১ কাপ,

আঙ্গুর সবুজ কাটা- আধা কাপ,

কাজু বাদাম- ১ কাপ,

কিসমিস - ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমেই দুই লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ১ লিটার করে রাখবো।

দুধ নরমাল হলে, ডিমের কুসুমে ২ টেবিল চামচ দুধ নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিবো। তারপর কাস্টার্ডপাউডার নরমাল দুধ দিয়ে গুলিয়ে রাখবো।

এবার যে হাড়িতে রান্না করা হবে, সেই হাড়িতে ১ কেজি পরিমাণ দুধ ঢেলে নিবো। এবার দুধে কনডেন্স মিল্ক, ডানো ক্রিম ভাল করে নেড়ে মিশাবো।

(আমি এখনও চুলায় হাড়ি বসাই নাই।)

এখন ফেটানো কুসুম দুধে ভাল করে মিশিয়ে নিবো। 

এবার চুলায় হাড়ি বসিয়ে নাড়তে থাকবো। কিছুক্ষণ পর কাস্টার্ড পাউডার গুলানো আস্তে আস্তে দুধে মিশাবো আর নাড়বো।

এবার চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়বো। চুলার আঁচ মিডিয়াম টু লো তে রেখে জ্বাল দিবো। দুধ ঘন হয়ে আসালে, ভেনিলা এসেন্স দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিবো। সার্ভিং ডিশের নিচে প্লেটে ঠান্ডা পানি রাখবো। এবার ডিশে কাস্টার্ড ঢেলে নিবো। নরমাল না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকবো। নরমাল হবার পর ফ্রিজে ১ ঘন্টার জন্য রেখে দিবো।

এবার এক ঘন্টাপর কাস্টার্ডে  কেক,  সব কাটা ফল, আনার,বাদাম, কিসমিস দিয়ে নেড়ে নিবো। আর কিছু আনার, আঙ্গুর  ও কিসমিস ডেকোরেশন করার জন্য কাস্টার্ডের উপর ছড়িয়ে দিবো।

হয়ে গেলো ক্রিমি পার্টি কাস্টার্ড।

ঈদের দাওয়াতের আয়োজনে খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে কাস্টার্ড পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

স্পাইসি সুইট মাটন

 কোরবানি ঈদ উপলক্ষে আমার বিশেষ আয়োজন আপনাদের জন্য স্পাইসি সুইট মাটন,
চলুন শুরু করি......

স্পাইসি সুইট মাটন
উপকরণঃ
খাসির মাংস- ১ কেজি,
টক দই- ২ টেবিল চামচ, 
মধু- ১ টেবিল চামচ, 
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ,
জিরা বাটা- ১ চা চামচ, 
রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ বাটা- ১ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ,
হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ, 
মরিচ গুঁড়ো- দেড় টেবিল চামচ,
ধনিয়ার গুঁড়া -১ টেবিল চামচ,
 দারচিনি- আড়াই ইঞ্চি ২ টা,
তেজপাতা-২ টা,
এলাচ-৪ টা,
লবঙ্গ -৪ টা, 
 ঘি- আধা কাপ,
সয়াবিন তেল- ১ কাপ,
লবণ ও চিনি- স্বাদমতো, 
আদা কুঁচি -১-২ টেবিল চামচ,
ধনিয়াপাতা কুঁচি - ২ টেবিল চামচ,

প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমেই মাংস গুলো কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো। এবার মাংসে টকদই,মধু, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা,পেঁয়াজ বাটা,মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া লবণ, আধা কাপ তেল দিয়ে মেখে ১ ঘন্টা ঢেকে রেখে দিবো।
তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে তেজপাতা,এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নেড়ে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিবো। 
মাংসে পানি আসলে, ঐ পানিতে ভাল করে কষিয়ে রান্না করবো।
এবার দুধ ১ গ্লাস দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিবো।
কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে দিবো। কড়াইতে যেনো না লেগে যায়।
এবার ঘি, ১ চা চামচ চিনি দিবো। তারপর ভাল করে নেড়ে ঢেকে দমে রাখবো ৫ মিনিট। চুলার আঁচ লো তে থাকবে।
পাঁচ মিনিট পর সার্ভিং ডিশে তুলে, আদা ও ধনিয়াপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পোলাও বা পরোটা,নানরুটির সাথে পছন্দ অনুযায়ী পরিবেশন করতে পারি।

বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

শনপাপড়ি সেমাই

 ঈদের আনন্দে মিষ্টিমুখ হতেই হবে। গৃহিণীরা নানা রকম মিষ্টি খাবার তৈরি করেন। তাই  ভিন্ন ধরনের একটি সেমাই রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম, ‘’শনপাপড়ি সেমাই’’ চলুন শুরু করি......

শনপাপড়ি সেমাই



উপকরনঃ

সেমাই- ২ প্যাকেট,

ঘি- ২ টেবিল চামচ,

চিনি –প্রয়োজন মত,

কনডেন্সড মিল্ক -১ টা,

পেস্তা বাদাম কুচি- ১ টেবিল চামচ,

কাজু বাদাম কুচি- ১ টেবিল চামচ,

কাঠবাদাম কুচি- ১ টেবিল চামচ,

কিসমিস কুচি- ১ টেবিল চামচ,

দুধের গুঁড়া - ২ টেবিল চামচ,


 প্রস্তুত প্রণালিঃ

প্রথমে একটি চার কোণা ডিশে ঘি ব্রাশ করে রাখব। সেমাই গুলো গুড়ো মত করে ভেঙ্গে রাখব। এবার একটি ননস্টিকি পাত্রে ঘি গরম করে নিবো। গরম ঘি তে সেমাই দিয়ে মৃদু আঁচে ঘন ঘন নাড়তে থাকবো। সেমাই ভাজা হলে গুঁড়া দুধ আর চিনি দিয়ে নাড়তে থাকবো এবার কনডেন্সড মিল্ক ও বাদাম-কিশমিশ মিশিয়ে আঠালো হওয়া পর্যন্ত নাড়বো। চুলার আঁচ বন্ধ করে এবার ঘি ব্রাশ করা ডিশে সামান্য ঘি সেমাইগুলো ঢেলে চেপে চেপে সমান করে নিবো, কিছু বাদাম উপরে ছড়িয়ে দিব। এবার ফ্রিজে জমাট বাঁধার জন্য রেখে দিবো। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দুধের গুঁড়োতে গড়িয়ে পরিবেশন করবো। হয়ে গেলো  মজাদার শনপাপড়ি সেমাই...

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

মেজবানি মাংস

ঈদুল আযহা উপলক্ষে আজ আমি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রান্না মেজবানি মাংসের রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম। এই রেসিপি গরু বা খাসির মাংস দিয়ে রান্না করা হয়। চলুন রান্না শুরু করি....


মেজবানি মাংস

উপকরণঃ

মাংস - ৫ কেজি( হাড়, চর্বি, কলিজাসহ),

পেঁয়াজ - ১ কেজি( বাটা,কুচি করে কাটা),

আদা বাটা- ৩ টেবিল চামচ,

রসুন বাটা - ২ টেবিল চামচ,

সাদা সরিষা বাটা- ২ টেবিল চামচ,

কালো সরিষা বাটা-২ টেবিল চামচ,

চিনাবাদাম বাটা- ৩ টেবিল চামচ,

নারিকেল বাটা- আধা কাপ,

পোস্তবাটা- ৩ টেবিল চামচ,

ধনিয়া বাটা- ৪ টেবিল চামচ,

মরিচ বাটা- ৬ টেবিল চামচ,

হলুদ বাটা- ২ টেবিল চামচ,

জিরা বাটা- ৪ টেবিল চামচ,

তেজপাতা ৪টি।

এলাচি ৬-৭টি,

দারুচিনি -২ ইঞ্চি লম্বা ৫টি,

লবঙ্গ- ৮টি,

কালো গোলমরিচ বাটা-২ টেবিল চামচ,

সাদা গোলমরিচ বাটা- ১ টেবিল চামচ,

মেথি বাটা- ১ টেবিল চামচ,

জায়ফল বাটা - ১টি,

তারা মসলা বাটা- ২/৩ টা,

জয়ত্রী বাটা-১ চা চামচ,

রাঁধুনি বাটা- ৩ টেবিল চামচ,

 জৈন বাটা-১ টেবিল চামচ,

মৌরী বাটা-২ টেবিল চামচ,

কাবাবচিনি বাটা-১ চা চামচ,

সয়াবিন তেল- ১ কাপ( বেরেস্তা ভাজার জন্য)

সরিষার তেল- ৪ কাপ,

লবণ- প্রয়োজন মতো,

গরম পানি- প্রয়োজন মতো,

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমেই পিঁয়াজ কুচি থেকে কিছু পিঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে নিবো। তারপর, 
গরুর মাংস চার কেজি আর বাকিটা হাড়, চর্বি কলিজা সহ এক কেজি বাড়িয়ে মোট পাঁচ কেজি গরুর মাংস কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে একটা ভারি প্যানে রাখবো। এবার মাংসে প্রথমে পিঁয়াজ কুচি,  তেজপাতা, আস্ত এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ সহ সব মসলা লবণ সরিষার তেল সহ মাংস ভাল করে মেখে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে চুলায় বসিয়ে মিডিয়াম টু হাই হিটে রেখে ১০ মিনিট রান্না করবো। মাঝে মাঝে নেড়ে দিবো। না হলে প্যানের তলায় লেগে যেতে পারে। মাংসের পানি বের হলে এই পানিতেই মাংস ঢেকে ৪০ মিনিট রান্না করবো মিডিয়াম টু লো আঁচে। যদি পানির প্রয়োজন হয়, তাহলে গরম পানি এড করবো। ৪০ মিনিট পরে মাংসের পানি টেনে গেলে বেরেস্তা দিয়ে নেড়ে  আরও ১০ মিনিট দমে রাখবো। এবার ভাত, পোলাও, পরোটা রুটির সাথে এই মেজবানি মাংস পরিবেশন করবো।

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

কড়াই গোস্ত

 

ঈদের আয়োজনে গরুর বা খাসির মাংস দিয়ে পাঞ্জাবের এই মজার কড়াই গোস্ত রেসিপি টি তৈরি করতে পারেন। চলুন শুরু করি…

 


উপকরণঃ

গরুর মাংস- ১ কেজি,

আদা বাটা -১ টেবিল চামচ,

রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ,

পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ,

টক দই- ১ কাপ ,

টমেটো- ৩ টা,( কিউব করে কাটা )

লবণ- ১ চা চামচ,

হলুদ গুঁড়া- আধা চা চামচ,

মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ,

ধনিয়া গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ,

জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ,

গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ,

গোল মরিচ বাটা- ১ টেবিল চামচ,

জয়ফল-জয়ত্রী বাটা- ১ চা চামচ,

কাসুরি মেথি- ১ টেবিল চামচ,

আদা জুলিয়েন কাট- (২ ইঞ্চি  পরিমাণ ২/৩ টা আদা কেটে নিতে হবে)

কাঁচামরিচ কুচি- ৩/৪ টা,

ধনিয়াপাতা কুঁচি- আধা কাপ,    

তেল- ১ কাপ ,  


প্রস্তুত প্রণালিঃ

মাংস কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো। চুলায় কড়াই বসিয়ে খুব গরম করে নিবো। এবার কড়াইতে তেল দিবো , তারপর পিয়াজ কুচি , আদা রসুন বাটা দিয়ে হালকা নেড়ে গরুর মাংস দিবো ,আর নাড়তে থাকবো। এই মুহূর্তে চুলার আঁচ হাই তে থাকবে। মাংসের কালার পরিবর্তন হবার পর লবণ দিয়ে নাড়বো তারপর দিবো গোল মরিচ বাটা বা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নিবো। এখন মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া। এবার মসলা গুলো ভাল করে মাংসের সাথে মিশিয়ে নিবো। এবার ৫/৬ টা কাঁচা মরিচ মাথা কেটে মাংসে দিবো আর দিবো টমেটো কিউব, ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে দিবো। এবার গরম পানি ২ কাপ দিয়ে ভাল করে নেড়ে ৩৫/৪০ মিনিট রান্না করবো মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। এই সময়ে চলার আঁচ মিডিয়াম টু লো থাকবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে মাংস নেড়ে দিতে হবে। মাংস থেকে পানিও বের হবে আর এই পানির মধ্যেই মাংস রান্না হয়ে যাবে আর টমেটো মসলার সাথে মিশে যাবে। মাংস সিদ্ধ না হলে প্রয়োজনে আবারো পানি এড করতে পারবেন।  ৪০ মিনিট পর মাংস সিদ্ধ হলে , পানি টেনে তেল বের হলে এবার ফেটানো টক দই দিয়ে ভাল করে ৫ মিনিট ভুনতে হবে। এবার আদা জুলিয়েন কাট আর কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নাড়বো। এখন কাসুরি মেথি ১ টেবিল চামচ হাতে তালুতে ঘষে মাংসে দিব। এতে মাংসের স্বাদ অনেক বাড়িয়ে দেয়। সব শেষে আধা কাপ ধনিয়া পাতা কুঁচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করবো পছন্দ অনুযায়ী- পোলাও , পরোটা, নান রুটির সাথে।