পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

তন্দুরি রুটি

 আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি তন্দুরি রুটি। গ্যাসের চুলায় আর লোহার তাওয়াতে তন্দুরি রুটি তৈরি করি। চলুন শুরু করি....

তন্দুরি রুটি

উপকরণ:

ময়দা - ২কাপ (৬ টি রুটি হবে)

বেকিং পাউডার - ২ টেবিল চামচ,

বেকিং সোডা- ১ চা চামচ,

টক দই- দেড় কাপ,

তেল - ২ টেবিল চামচ,

মাখন- ৪ টেবিল চামচ,

চিনি - ১ চা চামচ,

লবন - স্বাদমতো 

পানি - আন্দাজ মতো( উষ্ণ) 


প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে একটা গামলায় ময়দা বা আটা ২ কাপ নিবো তার মধ্যে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, তেল ১ টেবিল চামচ দিবো,  চিনি,লবাণ, টক দই  দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করবো। 

তারপর ১ চা চামচ মাখন দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাল করে মথে নিবো। তারপর ৩০ মিনিটের জন্য ডো টা ঢেকে রেখে দিবো।

৩০ মিনিট পর, অল্প আঁচে, চুলায় লোহার তাওয়া বসিয়ে রাখবো। 

এবার ডো টা আবারও একটু মথে নিয়ে ৬ টা রুটির লেচি কাটবো।

গোল করে একটু ভারি রেখে রুটি বানাবো।

রুটি গুলোর উপরো মাখন ব্রাশ করবো। তাওয়াতে দেওয়ার সময় মাখনের দিকটা নিচে দিতে হবে।

কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রুটি চারপাশে ফোলে উঠবে ( চুলার আঁচ কম থাকবে)

এবার উল্টিয়ে আগুনে  ছেকে নিবো, 

এভাবে প্রতিটা তন্দুরি রুটি  একই পদ্ধতিতে তৈরি করে উপরে মাখন ব্রাশ করে নিবো। 

হয়ে গেল বাটার তন্দুরি রুটি। 


পরিবেশন করবো, সবজি, চিকেন চাপ, কাবাব বা বাটার চিকেনের সাথে। 

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

চিকেন সুপ

 আস সালামু আলাইকুম। আজকের রেসিপি চিকেন সুপ। 

আমি যেভাবে তৈরি করি, তাই শেয়ার করলাম... 


চিকেন সুপ 

উপকরণঃ

মুরগির বুকের মাংস - হাফ নিবো 

পানি -৪ কাপ

কর্ণফ্লাওয়ার- ৩ টেবিল চামচ

ডিম- ২ টি,( সাদা অংশ ফেটানো)

সয়াসস- ১ টেবিল চামচ, 

চিলি সস- ১ টে. চামচ

টমেটো সস- ১ টে. চামচ

ভিনেগার- ১ টে.চামচ

আদা কুঁচি- ১ টে. চামচ

রসুন কুঁচি- ১ চা চামচ

গোলমরিচের গুঁড়া - হাফ চা চামচ

গাজর কিউব করে কাটা- আধা কাপের কম

বেবিকর্ণ- ২ টে.চামচ

পেঁয়াজ পাতা- ২ টেবিল চামচ 

টেস্টিং সল্ট - ১ চা চামচ 

তেল- ১ টে. চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ টে. চামচ 

ভিনেগার- ৪ টে. চামচ 


প্রস্তুত প্রণালীঃ

সুপ তৈরি করার জন্য, প্রথমে একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করে তাতে রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে আদা কুচি দিবো। কয়েক সেকেন্ড ভেজে মুরগির মাংস দিবো,  

কিছুক্ষণ নেড়ে কাটা গাজর,বেবি কর্ন, , স্বাদমতো লবণ দিয়ে ৪ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে  ১৫ মিনিটের জন্য সিদ্ধ করে নিবো।

এখন একটা বাটিতে কর্ণফ্লাওয়ার পানিতে গুলে রাখবো আর অন্য আরও একটি বাটিতে ২ টো ডিমের সাদা টুকু নিয়ে ফেটিয়ে রাখবো।

১৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে মুরগির বুকের মাংস তুলে নিবো আর সিদ্ধ পানিটা চিকেন স্টক রেখে দিবো।

এবার বুকের মাংস চিকন বা কিউব করে কেটে নিবো বা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে আবার  চিকেন স্টকে দিবো।

এবার দিবো, গোলমরিচের গুঁড়া ,সয়াসস,চিলি সস,টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল করে নিবো।

 তারপর, গুলে রাখা কর্ণফ্লাওয়ার আস্তে আস্তে স্যুপে দিবো আর নাড়বো।

( এক হাতে কর্ণফ্লাওয়ার গুলা বাটি আর অন্য হাতে চামচ) 

এখন ডিমের সাদা ফেটানো একই ভাবে আস্তে আস্তে দিবো আর অন্য হাত দিয়ে  নাড়বো।

৩ মিনিট চুলায় রেখে চুলা বন্ধ করে দিয়ে, পেঁয়াজ পাতা কাটা ও ১ চা চামচ টেস্টিং সল্ট  আর 

ভিনেগার ১ টেবিল চামচ দিবো।

( অনেকে ঝাল খেতে চাইলে, কাঁচামরিচ মিহি কুঁচি করে ভিনেগারে ভিজিয়ে দিতে পারেন) পরিবেশনের জন্য - 

ছোট বাটিতে ভিনেগারে কাঁচামরিচ কুচি দিবো আর সারভিং ডিশে তুলে  গরম গরম পরিবেশন করবো চিকেন সুপ। 

(দুই জনের জন্য তৈরি করা হয়েছে) 

গ্রিলড হোল চিকেন

 আস সালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আজ একটুঁ অন্য রকম রেসিপি দিবো। সন্তানদের মনে আনন্দ দেয়ার জন্য আমার আজকের রেসিপি। মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে ঘরেই পার্টি করা যায়, পার্টিতে খাবারের আয়োজন এই রেসিপি করে সবাইকে সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়? আজ আমার রেসিপি "গ্রিলড হোল চিকেন ".একদম সহজ রেসিপি। এই রেসিপি বড় দিনে তৈরি করা হয় ,খেতে ও দারুণ। চলুন তৈরি করি.....


              

উপকরণ:

মুরগি -১টি (বড়) 

কমলার রস -১ কাপ

লেবুর রস- ২ টেবিল চামচ

লাল মরিচের সস -২ টেবিল চামচ 

অলিভ ওয়েল- ২ টেবিল চামচ

বাটার -১ টেবিল চামচ

লবণ -স্বাদমতো 

ভিনেগার- ১ চা চামচ

লেবুর খোসা -আধা চা চামচ

রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা -১ টেবিল চামচ

চিলি ফ্লেক্স- ১ চা চামচ

কাঁচা মরিচ - ৪-৫ টি

ধনেপাতা- কুচি পরিমান মত

আলু- ৪-৫ টি

গাজর কাটা- ৩ টা

প্রস্তুত প্রণালি:

মুরগি ভালো করে ধুয়ে বাটার এবং অর্ধেক কমলা ও লেবুর রস বাদে বাকি সব উপকরণ মুরগির চামড়ার ভেতরে ও বাহিরে ভালোভাবে ম্যারিনেট করে নিবো ৩০ মিনিট।

এবার, ওভেন প্রিহিট করে, ট্রেতে তেল ব্রাশ করে মাখানো মুরগি ও  আলু, গাজর, পিয়াজ, গ্রিল করে নিবো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। মাংস সিদ্ধ হলে বাকি কমলা ও লেবুর রস ছড়িয়ে দিবো। 

গরম মুরগি ট্রেতে সাজিয়ে ধনিয়াপাতা, কাঁচা মরিচ ছিটিয়ে বাটার ব্রাশ করে পরিবেশন করুন নানরুটি  ও সালাদের সাথে। 

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

পাউরুটির সমুচা

আস সালামু আলাইকুম। আজ আমি সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে বিকেলের একটি  নাস্তার রেসিপি শেয়ার করবো। চলুন নাস্তা তৈরি করি...

পাউরুটির সমুচা

উপকরণঃ

পাউরুটি- ৬ পিস

সিদ্ধ আলু- তিনটি মাঝারি

পেঁয়াজ কুচি- মাঝারি ২ টা

আদা কুঁচি-১ চা চামচ

রসুন কুঁচি- ১ চা চামচ

*চাট মসলা -১ চা চামচ

কাঁচা মরিচ কুচি- ১ চা চামচ

লবণ- স্বাদমতো

ধনিয়া পাতা কুঁচি -২ টেবিল চামচ

তেল- পরিমাণ মতো


প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তেল দিবো, তেল গরম হলে, দিতে হবে আদা ও রসুন কুচি। একটু ভাজার পর দিবো পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ পর দিবো কাঁচা মরিচ কুঁচি।

এখন সিদ্ধ আলু গুলো হাত দিয়ে ভেঙ্গে ভাজা পেঁয়াজে দিবো। তারপর,মসলার সাথে আলু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর দিবো এক চা চামচ চাট মসলা,পরিমাণ মত লবণ দিবো।এবার একটু নেড়ে ধনিয়া পাতা কুচি দিবো,ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিবো। এবার মিশ্রণটা উঠিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।

এবার পাউরুটি প্রস্তুত করে নিতে হবে-- 

প্রথমে পাউরুটির চারপাশে যে পোড়া শক্ত অংশ থাকে সেটা কেটে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

এরপর একটা করে পাউরুটির টুকরো নিয়ে রুটির মত পাতলা করে বেলে নিবো।

এখন পউরুটির উপর পরিমাণমত মিশ্রণটি দিয়ে এর চার পাশে পানি দিয়ে এটিকে কোনাকুনি ভাজ করে দিবো প্রত্যেকটি রুটি এভাবে করে তৈরী করে নিবো।

খেয়াল রাখতে হবে চারপাশটা যেন পুরোপুরি এটে থাকে কোন অংশ যেন খোলা না থাকে। 

এবার ভাজার জন্য একটা প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিবো, এবার চুলার আঁচটা মিডিয়াম করে সামুচা গুলো গোল্ডন ব্রাউন করে ভেজে নিবো। হয়ে গেলো পাউরুটির সমুচা, বিকেলের চায়ের সাথে নাস্তা। টমেটো সস বা চিলি সস দিয়ে পরিবেশন করবো। 

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

চিড়ার পোলাও

 আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি চিড়ার পোলাও।  এই রেসিপি মজাদার একটি নাস্তা হতে পারে। যারা প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেয়ে বিরক্ত, তাদের মুখের স্বাদ বদলাতে পারে এই সুস্বাদু খাবার। বাড়িতে থাকা অল্পকিছু উপকরণে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন।  বিকেলের নাস্তায় কিংবা শিশুর টিফিনেও দিতে পারেন চিড়ার পোলাও। চলুন তৈরি করি------

চিড়ার পোলাও

উপকরণঃ

চিড়া- ১ কাপ

মুরগির মাংস- হাফ কাপ (সিদ্ধ) 

তেল- প্রয়োজনমতো

পিঁয়াজ কুঁচি- আধা কাপ

কাজু বাদাম- ১ টেবিল চামচ

চিনাবাদাম- ১ টেবিল চামচ

কিসমিস- ১ টেবিল চামচ

গাজর কিউব করে কাঁটা- ১ টেবিল চামচ

বরবটি- কুঁচি কাঁটা- ১ টেবিল চামচ

মাঝারি আলু কিউব কাঁটা- ১ টি

ফুলকপি ছোট করে কাঁটা-আধা কাপ

মটরশুঁটি- ১ টেবিল চামচ   

গোল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চমোচ

তেজপাতা- ১ টি 

দারচিনি- ১ টি

এলাচ- ২ টি

হ্লুদের গুঁড়া- আধা চা চামচ

চিনি- ২ চা চামচ

ঘি- ২ টেবিল চামচ

কাঁচা মরিচ কাঁটা- ৪-৫ টি 

প্রস্তুত প্রণালিঃ

চিড়াগুলো ভালো করে ধুয়ে নিবো। এরপর একটি ছাকনিতে রেখে ভাল করে পানি ঝরিয়ে নিবো তারপর এতে আধা চা চামচ লবন, ১ চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখবো। 

এবার চুলায় প্যান বসিয়ে গরম করে ২ টেবিল চামচ তেল দিবো। তেল গরম হলে আলু, গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি হালকা ভেজে তুলে নিবো। তারপর বাদাম কিসমিস হালকা ভেজে তুলে নিবো। এবার তেল আবার ১ টেবিল চামচ দিবো আর তাতে তেজপাতা,এলাচ, দারুচিনি দিয়ে হালকা ভাজা হলে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভাজা হলে তাতে আদা কুচি দিয়ে আরও একটু ভেজে কিউব করা সিদ্ধ মাংস দিয়ে দিবো। নেড়েচেড়ে ঢেকে দিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। মাংস রান্না হয়ে এলে সব ভাজা সবজি দিয়ে তার মধ্যে চিড়া দিয়ে নাড়তে থাকবো। মজার রান্না

কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে বাদাম কিসমিস ভাজা, কাঁচামরিচ   ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ২-৩ মিনিট নেড়েচেড়ে ঘি দিবো সাথে  ১ চা চামচ চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রাখবো। 

 ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চিড়ার পোলাও। বিকালের নাস্তা বা টিফিনে দিতে পারেন এই মজাদার নাস্তা।

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫

ক্ষীর পাটিসাপটা

আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি ক্ষীর পাটিসাপটা। চলুন তৈরি করি ক্ষীরপাটিসাপটা পিঠা....


ক্ষীর পাটিসাপটা

উপকরণঃ

ক্ষীরসা তৈরি:

তরল দুধ- ১লিটার, 

চালের গুঁড়া- ১টে চামচ, 

এলাচ গুঁড়া- ১/২চা চামচ,

কনডেন্সড মিল্ক- ১কাপ, 

বাদাম কুচি- ২টেবিল চামচ।


পাটিসাপটা তৈরি:

হালকা গরম পানি বা দুধ- ৪ কাপ, * সুজি- ১/২ কাপ, ময়দা- ১ কাপ

চালের গুঁড়া- ২ কাপ,

চিনি-পরিমাণমতো, 

ঘি- ১ টেবিল চামচ,


প্রস্তুত প্রণালীঃ 

প্রথমেই ক্ষীর তৈরি করে নিবো। 

ভারী তলা এমন পাত্রে দুধ ও এলাচ দিয়ে ঘন করে জ্বাল করে নিবো। এবার কনডেনসড মিল্ক ও চালের গুঁড়া দুধে মিশিয়ে দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। ঘন হয়ে গেলে ১ টেবিল চামচ ঘি ও বাদাম কুচি দিয়ে নামিয়ে নিবো।

এবার পিঠা গুলি তৈরি করবো, 

একটি পাত্রে দুধ, গরম পানি, সুজি, চালের গুড়ো, ময়দা, ঘি ও একটু লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। কোনো দানা যেন না থাকে। ব্যাটারটি কিছুটা পাতলা হবে। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে দিবো। 

৩০ মিনিট পর, এবার চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তেল ব্রাশ করে (তেল দিয়ে প্যানটি শুধু মুছে দিতে হবে, তেলের পরিমান যেন বেশি না হয়)

মাঝারি আঁচে ১/৪ কাপ ব্যাটার দিয়ে চারিদিকে গোল করে ঘুড়িয়ে রুটির মত গোল করে  তৈরি করে, এর একপাশে লম্বা করে ক্ষীর দিয়ে সাবধানে পিঠা ভাঁজ করে নিবো ।   

হয়ে গেল মজাদার ক্ষীর পাটিসাপটা।  এভাবে সব গুলো পিঠা তৈরি করে নিবো।


এবার পরিবেশন করবো বিকালের নাস্তায়।

দইবড়া

আস সালামু আলাইকুম। আজ মজার একটা রেসিপি আপনাদের শেয়ার করবো। এই রেসিপিটা  আমার খুব পছন্দের, আর তাই আপনাদের কাছে রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি।  চলুন তৈরি করি...

.

দইবড়া 

উপকরণঃ

প্রথম ধাপঃ 

কাঁচা মাষকলাইয়ের ডাল- ১ কাপ, 

আদাবাটা- ১ চা-চামচ, 

রসুনবাটা- ১ চা-চামচ, 

কাঁচা মরিচ- ৫ টা, 


দ্বিতীয় ধাপঃ 

 দই - ৬ কাপ

সাদা গোলমরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ, 

টালা ধনিয়ার গুঁড়া - ১ চা চামচ,

 টালা জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ, 

 টালা পাঁচফোড়ন গুঁড়া- ১ চা চামচ, 

টালা  মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, 

পোস্তদানাবাটা - ১ চা চামচ, 

বিট লবণ- ১ চা চামচ,

চিনি -প্রয়োজনমতো,

তেতুলের কাথ- আধা ক্যাপ,

লবণ- পরিমাণমতো, 

পুদিনাপাতাকুচি -আধা কাপ,

ধনিয়াপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ, 

কাঁচা মরিচকুচি- পরিমাণমতো, 

আদাকুচি- ২ টেবিল চামচ,


প্রস্তুত প্রণালিঃ

ডাল ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখবো। এবার জিরা, ধনে, গোলমরিচ, পাঁচফোড়ন ও শুকনো মরিচ আলাদা আলাদা টেলে একসঙ্গে গুঁড়ো করে রাখবো। 

তারপর ডাল শিলপাটায় বা ব্লেন্ডারে বেঁটে নিবো। 

 সামান্য পানি দিয়ে ডাল খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিবো, ফেটানো হয়েছে কি না দেখতে, বাটিতে পানি নিয়ে ছোট একদলা ডাল পানিতে ফেলে দেখে নিবো। যদি ভাসে তাহলে আর ফেটাতে হবে না।

এবার, একটি গামলায় ৬ কাপ পানি ও ২ চা চামচ লবণ মেশাবো। তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করব। এবার চ্যাপটা আকারে বড়া ভাজবো। ভাজা হলে তেল থেকে তুলে লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখবো। এভাবে সব ডালের বড়া ভেজে নিবো। 

দই ফেটিয়ে নিবো আর ঘন হলে সামান্য পানি দিয়ে ফেতবো। আর স্বাদমতো লবণ, চিনি ও মসলা মিশিয়ে নিবো।

দইবড়ায় মিষ্টি দই দিলে চিনির পরিবর্তে তেঁতুল দিবো। এবার ,বড়ার পানি নিংড়ে একটা বাটিতে রাখবো আর দই ঢেলে, বড়া ৩-৪ ঘণ্টা দইতে ভিজিয়ে রাখবো। পরিবেশন করার সময় এই দইবড়ার উপর গুঁড়ো মসলা ছিটিয়ে দিবো সাথে পুদিনাপাতা , ধনেপাতার কুচি , তেতুল সস দিয়ে পরিবেশন করবো।

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

গার্লিক পটেটো রিং চিপস

বড় ছোট সবার পছন্দের একটা নাস্তা যে কোন চিপস। তাই আজ একটা চিপসের রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি, আমার আজকের রেসিপি, গার্লিক পটেটো রিং চিপস। 

চলুন তৈরি করি, গার্লিক পটেটো রিং চিপস......

গার্লিক পটেটো রিং চিপস


উপকরণ :

আলু- ১ টা ( বড়),

সুজি- হাফ কাপ,

রসুনকুচি - ১ টেবিল চামচ, 

চিলিফ্লেক্স- ১ টেবিল চামচ, 

বাটার- ৩ টেবিল চামচ, 

পানি- ১ কাপ,

লবণ- ১ চা চামচ, 

কর্নফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ, 

ধনিয়াপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ, 

বিটলবণ- ১ চা চামচ 

মরিচের গুঁড়ো -১ চা চামচ, 

চাট মসলা-আধা চা চামচ, 

সয়াবিন তেল- পরিমাণ মতো 

 দুটো গোল কাটার (বড় একটা কাটার ছোট একটা কাটার)


বিঃদ্রঃ 

যদি কাটার না থাকে তাহলে বড় একটা পানি খাবার গ্লাস আর তার চাইতে ছোট একটি গ্লাস ( স্টিলের পানি খাবার গ্লাস হলে ভাল হবে)

টমেটো বা চিলি সস


প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমে আলু ছিলে, গ্রেটারে মিহি করে আলু গ্রেট করে রাখবো। রসুন মিহি করে গ্রেট করবো।এবার সুজি ব্লেন্ড করে নিবো। চুলায় একটা কড়াই গরম করে বাটার তিন চামচ দিয়ে গলিয়ে নিবো, এখন রসুনকুচি দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিবো। 

এক কাপ পানি দিয়ে নাড়বো, এবার চিলিফ্লেক্স আর লবণ দিবো, কিছুক্ষণ পর ব্লেন্ড করে রাখা সুজি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকবো তারপর গ্রেট করা আলু দিয়ে নাড়বো।  খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিবো।  কড়াই থেকে যখন সুজি আলুর মিশ্রণ আলাদা হয়ে খুনতিতে উঠে আসবে তখনই চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিবো।

হালকা ঠান্ডা হবার পর, হাত দিয়ে ভাল করে মথে নিবো, এবার কর্ণফ্লাওয়ার দিয়ে আবার মথে নিবো তারপর ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে আবারও ভাল করে মথে নিয়ে ডো তৈরি করবো।

এবার বেলুন আর পিড়িতে তেল লাগিয়ে নিবো।

ডো থেকে রুটি বেলার জন্য লিচি কেটে নিবো।

রুটি মোটা করে বেলে বড় কাটার বা গ্লাস দিয়ে প্রথম কেটে নিবো তারপর এই গুলোকে আবার ছোট কাটার বা ছোট গ্লাস দিয়ে কেটে রিং তৈরি করে নিবো। 

এভাবে সব গুলো তৈরি করে নেওয়া হলে, কড়াইতে ডুবো তেল গরম করে, চিপস লাল করে ভেজে নিবো।

সব চিপস ভাজা হলে, বিটলবণে চিলিফ্লেক্স বা মরিচের গুঁড়ো আর আধা চা চামচ চাট মসলা মিশিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিবো, হয়ে গেলো গার্লিক পটেটো রিং চিপস। 

টমেটো বা চিলি সস দিয়ে পরিবেশন করবো। 

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

চিকেন পরোটা

আস সালামু আলাইকুম। আজ আমার রেসিপি কিমা পরোটা। আর এই রেসিপি দিতে ,আমার পেইজে অনেক রিকুয়েষ্ট এসেছে। আমি প্রতিটা রিকুয়েষ্ট রাখার চেষ্টা করছি। চলুন তৈরি করি চিকেন পরোটা....

 

চিকেন পরোটা 


উপকরণ :

চিকেন কিমা- ২৫০ গ্রাম,

লবণ- স্বাদমতো, 

বাটার- ২ টেবিল চামচ, 

পেঁয়াজ কুঁচি- ২ টা, 

রসুন কুঁচি- ২ টেবিল চামচ, 

আদা কুচি- ১ চা চামচ, 

কাঁচামরিচ কুচি- ৩ টা,

আমচূর পাউডার- আধা চা চামচ,

ধনিয়া গুঁড়ো- আধা চা চামচ, 

মরিচের গুঁড়ো - আধা চা চামচ, 

ধনিয়াপাতা কুঁচি- ১ টেবিল চামচ, 

পুদিনাপাতা কুঁচি- ১ টেবিল চামচ, 

গরম মশলা গুঁড়ো- আধা চা চামচ,

জিরা গুঁড়ো - আধা চা চামচ, 

আলু সিদ্ধ - ২ টা (স্নেশ করা)

তেল- পরিমাণ মতো,

আটা বা ময়দা - ১.৫ কেজি,


প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমে আটা বা ময়দায় ২ টেবিল চামচ তেল, লবণ দিয়ে একটা ডো তৈরি করে, ডো এর উপর তেল মাখিয়ে ১৫ মিনিট এর জন্য রেখে দিবো। এবার চুলায় প্যান বসিয়ে, বাটার দিবো। তারপর রসুন কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি,আদা কুঁচি দিয়ে ভাজবো এবার মুরগি মাংসের কিমা দিয়ে ভাল করে নাড়বো, এবার দিবো মরিচের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো,আমচুর, জিরা গুঁড়ো, ধনিয়াপাতা কুঁচি,পুদিনাপাতা কুঁচি,কাঁচামরিচ কুঁচি , গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নেড়ে রান্না করে নিবো আর এবার আলুর স্নেশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে অল্প মাঝারি আঁচে রানা করবো পরোটার পুর। রান্না হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিবো।এবার আটার ডো থেকে লেচি কেটে পরোটা বানাবো। প্রথম ছোট করে গোল রুটি তৈরি করে তার মাঝে কিমার পুর দিবো দেড় টেবিল চামচ পুর দিয়ে রুটিটা চারপাশ দিয়ে আটকে গোল করে পরোটা তৈরি করে নিবো। পরোটা বেলতে হবে খুব সাবধানে, পুর যেনো বের না হয়ে পরে। গরম তাওয়াতে পরোটা হালকা তেলে ভেজে নিবো, এক এক করে সব গুলো তৈরি হয়ে গেলো চিকেন পরোটা....

ইচ্ছে অনুযায়ী,পরোটা কেটে, সকালে বা বিকালের নাস্তায় হুয়াইট সস, টমেটো বা চিলি সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

চকলেট ময়েস্ট কেক

আস সালামু আলাইকুম। আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চকলেট ময়েস্ট কেক। চুলায় খুব সহজ উপায় কি ভাবে তৈরি করতে হয়, আজ চকলেট ময়েস্ট কেক তৈরি করে দেখাবো। চলুন তৈরি করি...

চকলেট ময়েস্ট কেক

উপকরণ :

১ম ধাপ,

শুকনো উপকরণ চালনিতে

চালার জন্য :

ময়দা- ১ কাপ,

কোকো পাউডার - হাফ কাপ থেকে একটু কম।

পাউডার দুধ- ২ টেবিল চামচ, 

কর্ণফ্লাওয়ার- ৪/১ ( এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ) কাপ,

বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ, 

বেকিং সোডা- ২/১ (হাফ) চা চামচ,

লবণ - এক চিমটি, 


২য় ধাপ:

ডিম -২ টি,

চিনি- ১ কাপ / ১ কাপ থেকে একটু কম,

সয়াবিন তেল- ২/১ ( হাফ) কাপ,

ভেনিলা বা চকলেট এসেন্স - ১ চা চামচ, 

কফি - ১ টেবিল চামচ, 


৩য় ধাপ:


গ্রানাসের জন্য যা লাগবে:

লিকুইড দুধ ফুল ক্রিম - ১ কাপ,

বাটার- দেড় টেবিল চামচ, 

ডার্ক চকলেট - ১০০ গ্রাম,

হুয়াইট চকলেট- ১০০ গ্রাম,

চকলেট বল- ১০০ গ্রাম 


প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমেই কেক তৈরি করার বাটিতে তেল ব্রাশ করে বেকিং পেপার দিয়ে রেখে দিবো। 

আর বড় একটা প্যানে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রিহিট করে নিবো।

এবার একটা চালনিতে, ময়দা, পাউডার দুধ,কোকো-পাউডার, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা,কর্ণফ্লাওয়ার, লবণ মিশিয়ে চেলে নিবো। 

তারপর, 

একটা বাটিতে ডিম বিট করে তাতে চিনি, সয়াবিন তেল দিয়ে বিট করে নিবো, (যাদের বিটার নেই তারা হেন্ড উইচ বা কাটা চামচ দিয়েভাল করে মিক্সড করে নিবেন। এবার এতে -ভেনিলা/ চকলেট এসেন্স দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিবো। চিনি না গলা পর্য়ন্ত নাড়তে হবে।

এবার শুকনো উপকরণ গুলো আবারও চালনিতে চেলে ডিমের মিশ্রনে আলতো ভাবে মিশিয়ে নিবো 

এবার ছোট বাটিতে সামান্য গরম পানিতে কফি গুলিয়ে মিশ্রণে মিশিয়ে নিবো।

তারপর কেকের বাটিতে ঢেলে ভাল করে,টেপ করে নিবো, জেনো ভিতরে বাবল না থাকে।

এবার প্রিহিট করা বড় প্যামে বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৪০-৪৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে তৈরি করে নিবো।

এবার, 

চকলেট গ্রানাস তৈরি করার জন্য, 

অন্য আরও একটা চুলায় প্যানে ফুলক্রিম লিকুইড দুধ এক কাপ জ্বাল দিবো। দুধ গরম হলে বাটার দেড় টেবিল চামচ দিয়ে জ্বাল দিবো। একটা বলগ আসার পর চুলা বন্ধ করে দিবো। আর এই গরম দুধে, ডার্ক চকলেট ১০০ গ্রাম দিয়ে নাড়তে থাকবো।

চকলেট গলে যাবার পর, একটা বাটি বা কাপে ঢেলে নিবো।


 এবার,


৪০ মিনিট পর কেক হয়েছে কি না টুথপিক দিয়ে দেখে নিবো। আমার কেক ৪০ মিনিটে হয়ে গেছে। 

চুলা বন্ধ করে, কেক এর বাটি নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে চাকু দিয়ে বাটির চারপাশ ছাড়িয়ে নিবো।

এবার একটা প্লেট বাটিতে বসিয়ে উপর করে বের করে নিবো।

কেক থেকে বেকিং পেপার সরিয়ে নিবো।

এবার কেক টা অসমতল থাকলে, সমান করে কেটে নিবো।

কেটে ফেলে দেওয়া এই গুলো দিয়ে, কেক এর গ্রামস তৈরি করবো।

তাই ব্লেন্ডারে গুড়ো করে গ্রামস তৈরি করে রেখে দিবো। 

কেক সাজানোর জন্য লাগবে।

মজার রান্না 

এখন কেক দু'টো লেয়ার জন্য তৈরি করে নিবো।

এবার কেক তৈরি করার প্লেটে একটু চকলেট গ্রানাস দিবো আর তার উপর কেক-এর একটা পার্ট রেখে তাতে চকলেট গ্রানাসের লেয়ার ব্রাশ করে নিবো।

তার উপরে অন্য কেক এর পার্ট দিয়ে চকলেট গ্রানাস দিয়ে সম্পূর্ণ কেকটা ডেকোরেট করে নিবো আর কেক এর চারপাশে  বেলেন্ড করা কেক  গ্রামস লাগিয়ে নিবো।


এবার 

উপরটা চকলেট বল ও হুয়াইট চকলেট গ্রেট করে সাজিয়ে নিবো।


হয়ে গেলো চকলেট ময়েস্ট কেক। 

জন্মদিনে বা যে কোন অনুষ্ঠানে এই কেকটি তৈরি করতে পারি... 

পোলাও পাতা


পোলাও পাতা 

পোলাও পাতা কি ? 

যারা জানতে চেয়েছেন, তাদের জন্য... 

পোলাও পাতা খুব সুগন্ধি পাতা।

যা রান্নার স্বাদকে করে দ্বিগুণ।

তাই চাইলেই টবে , ছাদ বাগানে  বা বাড়ির আঙ্গিনায় গাছটি লাগাতে পারেন। 

কেক সন্দেশ

আস সালামু আলাইকুম। আমার আজকের রেসিপি মিষ্টি। দোকান থেকে আমরা না না রকম মিষ্টি কিনি।  যদি সেই মিষ্টি নিজেরা ঘরে তৈরি করে পরিবারের সবাইকে অবাক করে দেই ,তাহলে কেমন হয়?  তাহলে চলুন শুরু করি....


কেক সন্দেশ 
উপকরণঃ 

ছানা- ১ কাপ, 

গুঁড়োদুধ ২ টেবিল চামচ,

কনডেন্সড মিল্ক ১/২ ক্যান,

কোকো পাউডার ১ টেবিল চামচ,

ঘি ১/২ টেবিল চামচ, 

বাটার ১/২ টেবিল চামচ, 

এলাচ গুঁড়ো সামান্য, 

 চিনি পরিমাণ মত। 


প্রণালীঃ 

প্রথমে একটি ফ্রাইপ্যানে বাটার দিবো। বাটার গলতে শুরু করলে ঘি দিয়ে এক টুকরো দারচিনি ও একটা ছোট তেজপাতা দিবো, এবার ছানা,গুঁড়োদুধ , কনডেন্সড মিল্ক ,এলাচ গুঁড়া ও চিনি দিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকবো। কিছুক্ষণ নেড়ে তিন ভাগের দুই ভাগ ছানা উঠিয়ে রাখবো অন্য একটি পাত্রে। বাকি এক ভাগ ছানায় কোকো পাউডার দিয়ে নাড়বো, কোকো পাউডার ছানার সাথে ভালভাবে মিশে গেলে চুলা বন্ধ করবো।  যে দুই ভাগ ছানা আগে উঠিয়ে রাখা হয়ে ছিল তা মোটা করে সসেজ এর মত শেপ দিবো। এবার একটি ফয়েল পেপারে কোকো পাউডার মেশানো ছানা কে বিছিয়ে তার উপর সসেজ এর মত করে রাখা ছানা টি দিয়ে মুড়িয়ে নিবো। ফ্রিজের নরমালে দুই ঘন্টা রেখে দিবো। দুই ঘন্টা পর বের করে স্লাইস করে কেটে পরিবেশন করবো মজার কেক সন্দেশ। 

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

লইট্টা মাছের ঝুরি

আস সালামু আলাইকুম। আজ আমি লইট্টা মাছের একটা রেসিপি শেয়ার করবো। চলুন রান্না শুরু করি...


লইট্টা মাছের ঝুরি

উপকরণঃ 

লইট্টা মাছের- ১ কেজি

লেবু- ১ টা (ছোট) 

পিঁয়াজ কুঁচি -১ কাপ 

আদা কুঁচি- ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা- ১ চা চামচ

জিরা বাটা-১ চা চামচ

রসুন বাটা-১ চা চামচ

পোস্ত বাটা- দেড় চা চামচ

হলুদ গুঁড়া- হাফ চা চামচ

ধনিয়ার গুঁড়া-১ চা চামচ

মরিচের গুঁড়া-দেড় চা চামচ 

কাঁচামরিচ ফালি- ৬ টা 

লবণ- স্বাদমতো 

সয়াবিন তেল- ১ কাপ 


প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমেই মাছ গুলির মাথা ফেলে দিবো এবার লেজ , পিঠের পেটের পাখা কেটে ফেলে ,মাছ গুলি আস্ত রাখবো, এবার ভালো করে ধুয়ে লেবুর রস আর লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিটের মতো ঢেকে রেখে দিবো। এই ভাবে মাখিয়ে রাখলে লইট্টা মাছের গন্ধ দূর হয়ে যায়।

১০ মিনিট পর আবার ভাল করে ধুয়ে নিবো। এখন চুলাতে প্যান বসিয়ে তেল গরম করে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিবো ,তারপর বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনবো, হাফ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে মসলা কষাবো ,এবার গুঁড়া মসলা দিবো 

সাথে স্বাদমতো লবণ দিয়ে  মসলা কিছুক্ষণ কষিয়ে মাছ গুলি বিছিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখবো। এবার ঢাকনা সরিয়ে দেখবেো মাছ থেকে পানি ছেড়েছে। খুন্তি দিয়ে মাছের অংশ থেকে কাঁটা বের করে ফেলে দিবো। কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকবো। 

পানি টেনে তেল বের হয়ে আসার পরও চুলায় অল্প আঁচে রান্না করবো ।একটা সময় মাছের ঝুরি হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে বাটিতে বা সারভিং ডিশে তুলে আদা কুঁচি ছড়িয়ে ভাতের সাথে পরিবেষণ করবো লইট্টা মাছের ঝুরি। 



বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

পুডিং

আস সালামু আলাইকুম। আজ আমি সাধারণ একটা ডিমের পুডিং তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করছি। চলুন শুরু করি__ 

পুডিং 

উপকরণ :

দুধ- ১ কেজি,

 চিনি ১ কাপ, 

ডিম -৪টি, 

এলাচ গুঁড়া বা ভেনিলা এসেন্স-সিকি চা চামচ, 

প্রণালি : 

১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিবো। দুধ নরমাল করে নিবো। এবার ডিমের সঙ্গে চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিবো।  এবার দুধের সাথে ডিমের মিশ্রন এলাচ গুঁড়া বা ভেনিলা এসেন্স ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। 

এবার সসপ্যান বা টিফিনকারির বাটি চুলায় বসিয়ে, চিনি দিয়ে ক্যারামেল করে নিতে হবে।

এবার ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে বাটির মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে, বড় একটা পাতিলে ২গ্লাস পরিমাণ পানি গরম করে অল্প আঁচে ভাপে দিতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে।

১৫-২০ পর পুডিং হয়ে গেলে, 

পুডিং ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তরপর ছুরি দিয়ে বাটির চারপাশে ঘুরিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হবে। প্লেট বাটির ওপর চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে, পরিবেশন করুন সুস্বাদু পুডিং।

মোচার ঘন্ট বা নিরামিষ

 আমার আজকের রেসিপি মোচার ঘন্ট বা নিরামিষ।  এই রেসিপি বাঙালির পছন্দের রেসিপি। তাই অনেক গুলো রিকুয়েষ্ট পেয়েছি এই রেসিপির জন্য।  আমি যে ভাবে কলার মোচার ঘন্ট রান্না করি তা আপনাদের শেয়ার করলাম..

মোচার ঘন্ট বা নিরামিষ

উপকরণ:

মোচা - ১ টা ( বেছে মাঝের ডাট ফেলে ধুয়ে কুচি করে কাটা) 

ছোলার ডাল- ২ টেবিল চামচ

নারিকেল- হাফ ( ছোট করে কাটা)

নারিকেলের দুধ- ১ কাপ 

আলু- ২ টা ( ছোট করে কাটা)

বেগুন- হাফ (ছোট করে কাটা) 

শুকনো মরিচ- ৪ টা 

আদা বাটা- দেড় চা চামচ

জিরা বাটা- ১ চা চামচ

হলুদের গুঁড়ো - ১ চা চামচ

মরিচের গুঁড়ো - দেড় চা চামচ

ধনিয়ার গুঁড়া-১ চা চামচ 

কাঁচা মরিচ- ৩-৪ টা ( টুকরো করে কাটা)

তেজপাতা- ২ টা

গরম মসলার গুঁড়ো -১ চা চামচ

 আস্ত জিরে- ফোড়নের জন্য

ঘি -( ২-৩ টেবিল চামচ) 

সরিষার তেল- পরিমাণ মতো

চিনি - ১ চা চামচ

লবণ - পরিমাণ মতো। 


প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে মোচা কুচি হলুদ ও লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিবো। সিদ্ধ হবার পর চালনিতে পানি ঝরিয়ে রাখবো।

এবার, একটা কড়াইতে তেল গরম করে, এক এক করে -  আলু, ছোলার ডাল,বেগুন হালকা ভেজে তুলে রাখবো। অই কড়াইতে অল্প ঘি দিয়ে নারিকেল হালকা করে ভেজে তুলে রাখবো।

তারপর, কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে,আস্ত জিরে তারপর শুকনো মরিচ, তেজপাতা দিবো।

একটু ভাজা হলে, আদা বাটা, জিরে বাটা,হলুদের  গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভাল করে ভুনে নেওয়ার পর সিদ্ধ করে রাখা মোচা দিবো। ( মোচা সিদ্ধ করার সময় লবন দেয়া হয়েছে তাই লবন দিবো না)।

মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিবো। এবার ভেজে রাখা ছোলার ডাল,আলু দিয়ে ভাল করে নেড়ে ভুনবো।  

১ মিনিট পর ১ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ৫ মিনিট অল্প আঁচে কষাবো। পানি টেনে যাবার পর ,এবার  নারিকেলের দুধ ও চিনি দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ নেড়ে রান্না করবো। 

এবার ভাজা নারিকেল,কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখবো ৫ থেকে ১০ মিনিট।  চুলার আঁচ রাখবো মাঝারি থেকে অল্প।

১০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে ভাল করে নেড়ে একটা গ্লাস দিয়ে থেতলে বা চটকিয়ে নরম করে নিবো। তারপর গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিবো অবশেষে ঘি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে মিবো চুলা থেকে। হয়ে গেলো মোচার নিরামিষ বা ঘন্ট।

এবার গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবো।

ডার্ক চকলেট ব্রাউনি

আস সালামু আলাইকুম।  আজ সবার পছন্দের রেসিপি  শেয়ার করবো। চলুন শুরু করি....

ডার্ক চকলেট ব্রাউনি

উপকরণ:

১ম পর্ব:

ময়দা- ৫০ গ্রাম

চিনি-২৫০ গ্রাম

কোকো পাউডার- ৫০ গ্রাম

আখরোট- ৩০ গ্রাম,

ডিম- ৩ টি

ডার্ক চকলেট - ১৩০ গ্রাম

মাখন -১৩০ গ্রাম


২য় পর্ব:

সাদা চকলেট নুগার:

চিনি -১৬ গ্রাম, 

পানি -২০ গ্রাম (১২১ ডিগ্রিতে ফোটানো), 

সাদা চকলেট -১০০ গ্রাম,

হুইপড ক্রিম -১২০ গ্রাম, 

জেলেটিন -৩ গ্রাম।


৩য় পর্ব:

কমলার গানাশ:

হুইপড ক্রিম- ১০ গ্রাম,

কমলার এসেন্স -২ গ্রাম,

লবণ -১ গ্রাম, 

ডার্ক চকলেট -১০ গ্রাম। 


প্রস্তুত প্রণালি:

১ম পর্ব:

চুলার ওপর একটি পাত্রে পানি জ্বাল দিবো। গরম হয়ে এলে ওপরে গরম পানির তাপ নিতে পারবে এমন একটি বাটি বসাবো। এতে মাখন আর চকলেট একসঙ্গে দিবো। পানির পাত্রের তাপে এই দুই উপকরণ গলে যাবে। ডিম ও চিনি বিট করে নিবো ফোম না হওয়া পর্যন্ত। এরপর গলে যাওয়া চকলেটের মিশ্রণটি ডিমের মিশ্রণে মেশাবো। ময়দা, আখরোট আর কোকো পাউডার দিবো।  এবার আলতোভাবে মেশাবো। বেকিং প্যানে দিয়ে, ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৪০ মিনিট বেক করে নিবো। 

২য় পর্ব:

চিনি ও পানি একসঙ্গে গলিয়ে নিবো চুলায় বসানো পাত্রে। ডিম বিট করে রাখবো। মিশ্রণটি এবার চিনির মিশ্রণে ঢেলে দিবো। ফোম না হওয়া পর্যন্ত বিট করতে থাকবো। এবার চকলেট গলিয়ে হুইপড ক্রিম দিবো। জেলেটিন পানিতে গলিয়ে নিবো। ডিমের মিশ্রণটি চকলেটের মিশ্রণে দিবো। এরপর জেলেটিন দিবো। সবশেষে নুগার দিবো। কেক বানানোর পাত্রে ঢেলে সেট করে নিবো। 

৩য় পর্ব:

চুলার ওপর বসানো পাত্রে ক্রিম ফুটিয়ে নিবো। এরপর এতে গলানো ডার্ক চকলেট এবং এসেন্স দিয়ে দিবো। এবার চকলেট ব্রাউনির ওপর গানাশ দিবো। জমে গেলে সাদা চকলেটের নুগার বসিয়ে দিবো। হয়ে গেলো ডার্ক চকলেট ব্রাউনি। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে, পরিবেশন করবো।

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

ইরানি চিকেন কড়াই

 আস সালামু আলাইকুম। আজ ইরানি একটি রেসিপি আপনাদের শেয়ার করবো।  চলুন শুরু করি...

ইরানি চিকেন কড়াই 

উপকরনঃ

চিকেন - ১ কেজি

পিঁয়াজ কুঁচি - বড় ৩ -৪ টা

টমেটো -বড় ৩ টা 

কাঁচা মরিচ- ৩ টা 

আদা বাঁটা - ১ টেবিল চামচ

জিরা গুঁড়া (টালা)- ১ টেবিল চামচ

ধনিয়া টেলে আধা ভাঙ্গা- ১ টেবিল চামচ

চিলি ফ্লেক্স - ২ টেবিল চযমচ 

কালো গোল মরিচের গুঁড়া -১ টেবিল চামচ

আদা -১ ইঞ্চি জূলীয়েণ কাট 

কাঁচা মরিচ -৬ টা

ধনিয়াপাতা কুঁচি - ১ মুঠো

সয়াবিন তেল - ১ কাপ

লবণ - স্বাদ মতো 


প্রস্তুত প্রণালিঃ

প্রথমেই চিকেন কেটে ভাল করে ধুয়ে নিবো। এবার চুলাতে কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে ,হাই আঁচে চিকেন ভেজে নিবো। হালকা কালার করে ভাজার পর পিঁয়াজ কাঁটা দিয়ে নাড়তে থাকবো। পিঁয়াজ নরম হলে, কাঁচা মরিচ আর কাঁটা টমেটো দিয়ে নাড়তে থাকবো।

এবার চিকেনে আদা বাটা , জিরা গুঁড়া ,ধনিয়া আধা ভাঙ্গা , কালো গোল মরিচ গুঁড়া, চিলি ফ্লেক্স, লবণ দিয়ে নাড়তে থাকবো। এক কাপ পানি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো। 

তেল ছাড়লে জুলিয়েন কাট আদা, কাঁচা মরিচ  কাঁটা, ধনিয়াপাতা কুঁচি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে নামিয়ে ডিশে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করবো নান রুটি বা পরোটার সাথে।