আস সালামু আলাইকুম। আজ আমি এক ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় পানীয় তৈরির রেসিপি নিয়ে এসেছি।বাসায় দাওয়াতের আয়োজনে পোলাও বা বিরয়ানী, রোস্ট, রেজালার আয়োজন হলে। খাবার শেষে পানীয় হিসেবে আমরা কোল্ড ড্রিঙ্কস রাখি। এসব পানিয় শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসব ড্রিঙ্কস গুলো বাদ দিয়ে রাজকীয় ভাব আনতে পানিয় হিসেবে বোরহানি রাখতে পারি। বোরহানি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বানানোটাও সহজ। আজ আমি বোরহানির রেসিপি নিয়ে এসেছি।। এখন তাহলে শুরু করি...
![]() |
শাহী বোরহানি |
উপকরণঃ
টকদই- ১ কেজি
পুদিনাপাতা বাটা- হাফ কাপ
ধনেপাতা বাটা- হাফ কাপ
টমেটো ক্যাচাপ- হাফ কাপ
কাঁচামরিচ বাটা-২ টেবিল চামচ
চিনি- ৩ টেবিল চামচ,
পানি- ২ কাপ থেকে একটু অল্প
লবণ- স্বাদমতো
বোরহানির মশলা তৈরিতে লাগবে:
ভাজা জিরা গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ
ভাজা ধনিয়া গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ
সরিষার গুঁড়া- হাফ টেবিল চামচ
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া-১ চা চামচ
বিট লবণ-১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
একটা বাটিতে ২ কাপ ঠান্ডা পানি নিবো তারপর পানিতে বোরহানি মশলা, টমেটো ক্যাচাপ, কাঁচামরিচ বাটা, চিনি, লবন, ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা বাটা একসাথে মিশিয়ে নিবো। তারপর একটা ছাঁকনিতে করে ছেঁকে পানিটা আলাদা করে নিয়ে, পানির নিচের তলানি গুলো ফেলে দিবো।
এবার একটা বড় বাটি বা গামলা টাইপ কিছু নিয়ে তাতে টকদই ঢেলে নিবো। ডাল ঘুটনি দিয়ে দই টাকে ভালো করে ফেটিয়ে নিবো। একদম যেন মিহি হয়ে যায় (ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করা যাবে না তাতে বোরহানি পাতলা হয়ে যায়)।
তারপর সেই ছেঁকে রাখা পানিসহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে আবারো ফেটিয়ে নিবো, ঘুটনি দিয়ে ঘুটে নিবো।
সব একসাথে মিশে গেলেই আপনার বোরহানি তৈরী।
সবকিছু মিশানোর পরেই চেখে দেখবেন, যদি কিছু লাগে তাহলে আপনার স্বাদ মতন লবন ও চিনি দিতে পারেন।এবার জগ/বোতলে ভরে কিছুক্ষন ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। তবে গ্লাসে ঢালার আগে বোতল ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলবেন না....
২টি মন্তব্য:
দারুণ রেসিপি। মাশাল্লাহ।
হম অনেক মজার রেসিপি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন